যুগে যুগে মা, তুমি এসেছো এ ধরা মাঝে ,
কখনো চণ্ডী, কখনো দুর্গারূপিনী দশভুজার সাজে ।
নারীর শক্তিরুপী রূপে তুমি রয়েছো বিরাজে ,
তবু মা, নারী কেন ভয়ে মরে লাজে !
কেন সে গুমরে গুমরে কেঁদে ওঠে বারে বারে !
পশুরুপী মানুষের লালসায় অকালেতে পরে ঝরে।
তুমি তো মা সালঙ্কারা – –
তোমার অংশ এই নারী, সাজলেই পশুরা পায় কেন আস্কারা ?
তোমার আগমনে মাগো, মেতে ওঠে ধরণী খুশিতে ,
তবে কেন মা, ঘরের দুর্গা ঘরের কোণে কাঁদে নিভৃতে !
কেন তাকে বুকে নিয়ে ছোট্ট শিশুকে বোঝাতে হয় –
সামনের বছর নিশ্চই হবে আমাদেরও সূর্যোদয় ।
মাগো, একাধারে তুমি উজাড় করে দাও, রাখনা ভাবনার ভার ,
তোমার কাছে মা সবাই তো সমান, তবুও কেন এমনতর বিচার ?
ঢাকের কাঠিতে ওঠে আনন্দের বোল –
চারিদিকে কতো খুশি কতো শোরগোল ,
কোন সেই সুদূর গ্রামে ঢাকির যেখানে বাস ,
সেই ঘরে কোনো খুশি নেই আজ, আছে শুধু দারিদ্রতার বিষাক্ত নিঃশ্বাস ।
পথপানে শিশু অপেক্ষায় বসে থাকে বাবার আসার আশায়,
অল্প সামান্য চাহিদার স্বপ্নে চোখটা ভরে থাকে নিশ্চুপ ভাষায় !
ওদের ঘরে নেই তো কোনো শরতের খুশি
নেই কোনো শিউলির ঘ্রাণ –
পাঁক হতে শত শত শতদল তুলে তারা
মাগো, তোমারে করে নিমজ্জিত প্রাণ ।
মাগো, কেন এমন অসম বিচার
তোমার আদালতে চলবে !
তোমার কাছে তো মা সবাই সমান
কবে দুঃখীর দুঃখ তুমি ঘোচাবে ?