এত অপমান পাবো বলিয়া লিখিয়াছি কত কবিতা
কবিতায় তোমাদের দিতে পারি নাই সুখ;দিয়াছি যে ব্যথা
প্রকাশ্য প্রতিবাদের কবিতা লিখিবার তরে
তাহারা আক্রমণ করিয়াছে মোরে বারে বারে
বোঝে নাই তাহারা এই মনের কথা
বিদায় দেয় মোরে আলোক রঞ্জিত সমাবেশ
সর্ব সময়ের সাথি হইয়া ঘিরিয়া ধরে নিরবতা।
আমি যেন রহস্য মানব এক এই মুক্ত ধরার বুকে
নীল আকাশের গায়ে পাখিরা উড়িয়া বেড়ায়
কত অব্যক্ত ব্যথার পাহাড় জমিয়া আছে ওদের ঠোঁটে
অনিমেষ দরবেশ অলিন্দে বিদায় রেশ
অহমিকা ক্রেতা হয়,
ভগ্নচুরে ছেঁড়া মাকড়সার জালে মায়া
মমতার প্রত্যাশা করিয়াছে অপহরণ ক্ষমতার কায়া
থেমে যায় কবিতার স্থান,
জীবন্ত স্মৃতির প্রাণ হয় ম্লান।
বিবেচনা হয় কেনাবেচা
নকলের মাঝে আসলেরে যায় না চেনা
লিখে যায় কবি কবিতায় সময়ের কথা
ভুলে যায় মানুষ কবিতার ভাষা
পুনরায় একদা কবিতাকে খুঁজে চলে সময়
কবিকে খুঁজে বেড়ায়
অকালে ঝরে যাওয়া গাছের পাতা,
জীবনে যারে দিলে শুধু অপমান
সময়ের হাত ধরে সময় তাঁরে দিবে সম্মান
আজিকার কবিতা কেহ করিল না মূল্যায়ন
এই দুঃসময়ের মাঝপথে
খোঁড়া হয়ে দাঁড়ায়ে আছে তাহার নাম কৃত্রিম আস্ফালন।