সেদিনও ছিল ঘনঘোর মেঘে বৃষ্টি ভেজা শ্রাবণ বেলা, ছিল ঝিরিঝিরি বৃষ্টির শব্দে গাছের পাতার শিল্পকলা!
সবুজ পাতারা শরীরে শরীরে মিশে যেতে জানে,
পড়তে পারে বৃষ্টির মনের ভাষা!
ছিল গাছেদের হলুদ পাতায় ফেলে আসা মিলন বেলা, ছিল মধুর শব্দের গুঞ্জনের রেশ, মনের ঘরেতে পাখির কুজন, ছিল ভ্রমরের ছোঁয়ায় রিনিঝিনি ফুলের হাসি, আর ছিল তোমার আমার কথোপকথন। ।
সেই,সব মুহূর্ত গুলো কে, পরম যত্নে হৃদয়ের ক্যানভাসে জলছবি এঁকে আগলে রেখেছিলাম, তোমায় দেখাবো বলেই, তুমি তখন শ্রাবণ মেঘের ঘনঘটার গল্প শোনালে, শোনালে কোন এক পরিযায়ী পাখির প্রতিক্ষা!
রাতজাগা দুনয়নে আমার ঝড়ছে টুপটাপ বারিষের শ্রাবণের ধারা!
জানি তুমি দল ছুট মেঘ হয়ে এসে জড়িয়ে নেবে, মুছিয়ে দেবে আকুল করা নয়নের আবেগী অশ্রুধারা!
এমন করেই কতো দীর্ঘ রজনী, অনেক গুলো বছর শতাব্দী পেরিয়ে যাবে। তারপর,কোন এক সবুজ অরণ্যে নির্জন অলস দুপরে চলতি পথে হঠাৎ আমাদের দেখা।
তুমি বলবে, মনে পড়ছে! চিনতে পারছো কী আমায়! আমি সে কথার উত্তর না দিয়ে, চোখে চোখ মিশিয়ে, আলতো হাসির ছোঁয়ায় বলছি, কবি গুরুর “হঠাৎ দেখা” কবিতাটি একটিবার শোনাবে আমায়!
তুই অবাক চোখে আমার দিকে চেয়ে বলছিস, তবে আমার থেকে এমন করে হারিয়ে যাস কেন বারে বারে!
তখন ঠোঁটের কোনে মৃদু হেসে, যেন কবির ভাষাতেই বলছি , ভালোবাসি বলেই তো হারাই বারে বারে, আমায় নতুন রূপে, নতুন ভাবে পাবি বলে!