আমার হৃদয়ের চারপাশে এখন জন্মেছে অনেক উলু ঘাস।
সেখানেই বৃষ্টি হয় বারোমাস।
ঝুলা বেঁধেছি
স্মৃতিদের নিয়ে সেখানেই করি রাশ।
বোবা কান্নারা শব্দ চায়
নীরবতা ও নৈরাশ্যের কাছে।
অনুভব-অনুভূতি-উপলব্ধিরা
জমাট বেঁধে টিলা হয়ে বসে আছে,
নিয়ে পাথরের চাপ।
আমার রাজরানী ডুলিতে চেপে বহুকাল ধরে চলেছে হেঁটে
ভুলেছে
আমার চাতালের মাপ।
বুকের ভিতর এখনো পাহাড় ভেঙে পাথর কাটার শব্দ।
স্রোতস্বিনী, পাহাড়ের ওই ফাঁকা জায়গা চিরে
একবার এসে করো ঋদ্ধ।
মুখরিত হোক চারধার
বিজনের কানন।
আলোড়িত হোক তেরচা মুখে সূর্যের আলোর বিচ্ছুরণ।
একবার এসো স্রোতস্বিনী,
মুখরিত করো আমার হৃদয়ের চারপাশ।
ভাসিয়ে দিও যত আবর্জনা
যত কলুষিত ছাইপাশ।
রাজরানী, একবার এসো আমার হৃদয়ের প্রাঙ্গণে।
আমার জীবনের শেষ বিকেলের গানে।
দাঁড়িয়ে থেকো না,
একটু দূরেই কালিঝুলি মেখে সন্ধ্যা দাঁড়িয়ে আছে।
সব ভুলে অঞ্জলী দাও
হৃদয়ের বিবেকের কাছে।
একবার এসো স্রোতস্বিনী, রাজনন্দিনী।
এ কবির নির্জন প্রাঙ্গণে।