শীতের কালে কদর বেশি পিঠে পুলির ধুম
নতুন চালে বানায় পিঠে মা বৌমার নেই ঘুম।
সংক্রান্তিতে জমবে ভালো নলেন গুড়ের পিঠে
চাকুম চুকুম খাবে সবাই বলবে আহা মিঠে।
কত রকম পিঠে আছে ঠাম্মা দিদা করে
দুধপুলি আর পাটিসাপটা নারকেল পুরে ভরে।
গরম গরম ভাপা পিঠে খেয়ে জুড়ায় প্রাণ
পাড়া পড়শি জানতে পারে পেয়ে পিঠের ঘ্রাণ।
খেজুর গুড়ের তুলনা নাই চিতৈ পিঠের সাথে
নারকেল কোরা পাতে দিয়ো খাবে তুলে হাতে
গোকুল পিঠে রসে ডোবে স্মৃতি মধুর মাখা
কিনবে সব দোকান থেকে সাজিয়ে সব রাখা।
চন্দ্র পুলি আর গঙ্গাজল গন্ধ স্বাদে ভরা
এলাচদানা কর্পূর সাথে অনেক কষ্টে গড়া।
চুষির পায়েস গুড়ের পায়েস চেটে চেটে খাবে
সংক্রান্তিতে ছুটে ছুটে ঘরের পানে যাবে।
মালপোয়াকে বাদ দিও না রসের বড়া রাখো
বাঙালি ভাই পিঠে পাগল মিষ্টি ঝালে থাকো।
আজকাল দেখি ফিউশন শব্দ ঝালের পিঠে আসে,
শীতের রাতে লংকা পুরে চোখের জলে ভাসে।
বুড়ো দাদু পিঠে মেলায় রুমালে চোখ মোছে
আহা উঁহু গোকুল পিঠের, রস খেয়ে ঝাল ঘোচে।
বড্ড ভালো খেলাম পিঠে ফিক করে তাই হাসে
বেঁচে থাকুক পিঠে পুলি উৎসব পৌষের মাসে।