হৈমন্তী অমাবস্যার আঁধার কাটানো এই ভোরে-
আমি চাই না থাকতে আর স্মৃতির পিঞ্জরে বন্দী,
উত্তুরে হাওয়া বড়োই নাছোড়বান্দা তাই আজ-
হিমের আবেশ নিয়ে স্মৃতি-বিস্মৃতিরা করল সন্ধি।
স্টোর রুমে থাকা অব্যবহৃত ট্রাঙ্ক থেকে হঠাৎ••
চির ঘুমের দেশে অধিষ্ঠিতার লাল নীল বেনারসী-
উসকে দিলো স্মৃতি তার-যে শুধু বলতে চেয়েছিল;
স্বপ্নহীন ক্ষয়িষ্ণু জীবনটাকে-‘বড়ো ভালবাসি’।
একটা প্যাকেটে হঠাৎ না বলে উধাও হওয়া ছেলেটার-
স্বপ্ন সাকার করা পুরস্কারগুলো উঁকি দিলো,
বেদনার কালো জলে হাবুডুবু খেতে হবে জানলে-
জীবিতের স্বার্থে স্মৃতিগুলো নিয়ে ঘাঁটতাম বলো?
সবাই তো রেখেছে ওদের মনের কুলুঙ্গি বন্দী করে-
ভাবনায় কিংবা চেতনায় আনতে তাদের ভয়,
অশ্রুনদীর অভিমুখ উজানে দিয়েছে কবেই ঠেলে-
স্মৃতিবিধ্বস্ত মমতাকে দেয় নি তারা কখনোই প্রশ্রয়।
শুধু ভাবি কেন আমি আজও বসে আছি আগলে-
শোকার্ত হৃদয়ে হৃতসর্বস্ব স্মৃতির পসরা সাজিয়ে,
হয়তো কোনো একদিন ক্লান্ত সৃষ্টির এই লেখনী-
স্মৃতির পিঞ্জর ছেড়ে সময়মতো ঠিক যাবে পালিয়ে।।