রাতের আঁধারে মন মোহিনী চন্দ্রকলা
কি মাধূর্যে অধিষ্ঠিত যায় না বলা,
হাজার তারার ভিড়ে সে যে একেলা-
তবু বড়ো শান্ত নেই কোন ছলাকলা।
চন্দ্রকলার ওই নির্মল স্নিগ্ধতায় ভেসে,
মেঘেরা উড়ে যায় কোন দূর দেশে,
সারারাত ভ্রমণের পরে অবশেষে;
রোজ সে সুদূর দিগন্তের বুকে
মেশে।
গভীর রজনীতে নিস্তব্ধতাকে জড়িয়ে,
মন মোহিনী রূপে আকাশপথে বেড়িয়ে
প্রদক্ষিণ সারে সে ভুবনে আলো ছড়িয়ে;
তবু রোজ রোজ সূর্যোদয়ে যায় হারিয়ে।
পূর্ণিমার পূর্ণশশীর রূপ যে মোহিনী,
তখন তার জ্যোৎস্না নয় অভিমানিনী,
কিন্তু অমাবস্যায় যখন ছায় ধরণী;
নির্লিপ্ত আঁধারে সে যেন হয় তন্দ্রাহরণী।
চন্দ্রকলার মোহে চলে প্রেম নিবেদন,
চন্দ্রকলা অলক্ষ্যে দেখে সেই জাগরণ,
এমন মোহিনী মায়ায় রাধাকৃষ্ণের মিলন;
আজও সাক্ষী দেয় যখন আসে ঝুলন।।