“ভালোবাসি ভালোবাসি সেই সুরেতে
কাছে দূরে বাজায় বাঁশি “
সেই বাঁশিই মনের ভিতরে দিনরাত সুর বাজিয়ে
একটা ঘোরের মধ্যে বসিয়ে রেখেছে l
এই অলৌকিক সম্মোহণের বাঁশি ঠিক কখন
বেজেছিলো জানিনা l
নিজের অজান্তেই পথ চলা শুরু!
এই সম্পর্কহীন সম্পর্ক জানিনা কোথায় নিয়ে যাবে!
সংকোচ মনের পায়ে বেড়ি পড়ায় বটে,
কিন্তু সন্মোহণের সুরটিকে এড়িয়ে যেতে তো পারি না!
নিবিড় নিবিড়তায় মনের সাথে মনের গ্রন্থি বন্ধন যদি হয়েও থাকে তাতে কারো কি বিশেষ ক্ষতি হবে?
স্পর্শও জীবনে খুব জরুরি,এতে হয়তো
দুঃখ, বিষাদ, বিষণ্ণতা, অবসাদ সব কেটে যায় l
অমি কখন এটা ভাবিনি দিন শেষের এই অপরূপ মায়াময় আলো আমাকে ধাধিয়ে দেবে!
ভাবনারও অতীত – আমার দিকে ভেসে আসবে
এমন পাগল করা হাওয়া!
খুবই সংকোচে বাস আমার, বেশ তো ছিলাম
বেহালার ছড় টেনেটেনে!
একটা কথা অসংকোচে স্বীকার করছি –
তোমার মত একজন জ্যোৎস্নাময়ী
মানুষের সাথে আগে দেখা হয়নি!
অমিও ধরা পড়লাম!
অলৌকিক নূপূর বেজেছিল কবে? কবে?
নারী পুরুষের সম্পর্কের অনেক মাত্রা আছে l
অন্য অনুভব আছে,বন্ধুত্ব আছে!
একজনের অনুভব যখন আর একজনকে
ছেয়ে ফেলে তখন তার থেকেই জন্ম
নেয় অন্য এক অনুভব – তার নাম কি প্রেম?
কিংবা অন্য কোনো উপলব্ধি!
প্রত্যেকের জীবন দর্শন আলাদা – কেউ কেউ সেটা উপলব্ধি করেন কেউ বা তা পারেন না l
“অবেলায় যদি এসেছো আমার বনে,
দিনের বিদায় ক্ষণে” —
কি জানি! এই অবেলায় তুমি কেনো এলে!
শেষ বেলাকার বাউলানিকে গান শোনাবার
মত গানতো আমার জানা নেই!
শেষ বেলায় বলছি বটে, আসলে আমার
কোনো কালেই কোনো গান জানা ছিল না l
যা কিছু সব ওই হিজিবিজি লেখার মাঝে,
গল্পের নায়ক নায়িকার ভাষাতে l
খুব বিস্ময় লাগছে! বিস্ময় লাগছে!
এই দিনেন্তে, এই যে মাধুর্য্যে এলো তাকে
কি ভাবে গ্রহণ করবো আমি?
কি দিতে পারি ! কি দিতে পারি আমি!
সারাটা জীবন তো কেটে গেলো বিষাদ আর
বিরহের আলাপ বিস্তারে l
এই নির্ঘুম রাতে অবাক হয়ে ভাবছি,
ভালোবাসার তো কোনো নির্দিষ্ট সময় থাকতে নেই l
কি এমন ক্ষতি বলো যদি কাউকে আঘাত না দিয়ে
একটু ভালোবাসলাম?
এমন কি ক্ষতি যদি এমন ভাবে তার হাত ধরাতে?
শুয়ে আছি অনেকক্ষন ঘুম আসছে না –
সারা অনুভব জুড়ে শুধু তারই আনাগোনা l
তাই এতো সব কথা-
এ ছাড়া আরো কিছু কথা থাকে যা বলা যায় না,
অস্পষ্ট,অধরা,আবছা দৃশ্যাবলীর মত তাদের
আসা যাওয়া l
কিছু কিছু শব্দ থাকে যা উচ্চারণ করা যায় না –
সত্য বলে জানা যায়, তবু বলা হয় না কখনো!
বন্ধু চাই-প্রীতি চাই -ভালোবাসা চাই-
যা সমব্যথার পুরস্কার-স্পর্শ চাই — যা স্নিগ্ধতা দেয়
শান্ত করে,অনায়াস লাবণ্যে ভরে দেয়!
” বান্ধব সংসর্গে তবুও অদ্ভুত একাকী
আঁধার রাত্রির মাঝে নিজেকেই ডাকি l”