বর্তমান প্রজন্মের কাছে স্বাধীনতা দিবসের মানে হলো
স্কুলে স্কুলে,পাড়ার ক্লাব গুলিতে ফুল,মালা,ধূপ দিয়ে
সুন্দর করে বেদি সাজিয়ে পতাকা উত্তোলন করা ,
নেতাদের ভাষণ, প্রচুর হাততালি,
শেষে জাতীয় সঙ্গীত গান করে অনুষ্ঠান শেষ করা।
আর সব শেষে লজেন্স আর বিস্কুট নিয়ে বাড়ি চলে আসা।
বাড়িতে এসে একটা ছুটির দিন উপভোগ করা।
ওরা তো জানেই না স্বাধীনতা দিবস আসলে কি?
কেন ই বা এই দিনটাকে পালন করা হয়?
পঁচাত্তর বছর আগে যখন বিপ্লবীরা ইংরেজদের শাসন ও শোষণের হাত থেকে ভারতবাসীকে মুক্ত করার জন্য
নিজেদের প্রাণ বলিদান দিয়েছিলেন!
তখন তাঁরা কি জানতেন ভবিষ্যত প্রজন্মের কাছে স্বাধীনতার মানে কি হবে?
ওরা কি বুঝবে কোনোদিন পরাধীনতার যন্ত্রনাটা কি ?
যদিও ভারতবর্ষের অর্ধেকের বেশি মানুষ
আজও পরাধীন।
আমরা যারা সাধারণ মানুষ প্রতি পদে পদে পরাধীনতার শৃঙ্খলে আবদ্ধ।
যে ছেলেটা চায়ের দোকানে এঁটো কাপ প্লেট ধুচ্ছে;
ও কি জানে স্বাধীনতার মানে?
যে মেয়েটা বাবা মায়ের আদরে একসময়
যখন যা মন চেয়েছে করেছে,
বিয়ের পরে শ্বশুর বাড়িতে এসে সে নিজের বাবা মায়ের
সাথে কথা বলা বা তাদের দেখতে যাওয়ার জন্য
অনুমতি নিতে হয়।
প্রচন্ড খিদের জ্বালায় কাতর হয়ে পরলেও সে খাবার
খেতে পারবে না!
কারণ বাড়ির সকলের যে তখনও খাওয়া শেষ হয়নি।
ও জানে পরাধীনতার যন্ত্রনা কি!
স্বাধীনতার প্রকৃত মানে ভারতবাসীর কাছে অজানাই থেকে যাবে চিরকাল।
অসাধারণ লেখনী সুপ্রিয় কবি, এক কথায় অনবদ্য কবিতা সুধী, কবিতা পাঠ করে মুগ্ধ, শুভেচ্ছা, অভিনন্দন ও শুভ কামনা নিরন্তর সুপ্রিয় কবি ✍️✍️✍️???