অভিমান নিয়ে রাতের শেষ প্রহরে
আকাশকে ফাঁকি দিয়ে
চলেছো তুমি….
অনাত্মীয় কোন সূদুরের মুহূর্তে
বাঁশির করুণ সুরে
ভীষ্মের শরশয্যার দেশে
ল্যাম্পপোস্টের নিভু নিভু আলোতে
চলেছো শূন্য পথে
নিঃসঙ্গতার কফিনে বন্দী রবে শতাব্দীর স্মৃতিতে
দেখলো না কেউ!
পাঁজর কাঁপানো যন্ত্রণা..
সাদা আঁচলটুকু বিছিয়ে আছে
বিদায়ের পথ জুড়ে।
“তমসো মা সৎ গময়,
তমসো মা জ্যোতির্গময়,
মৃত্যোর্মা অমৃতং গময়,
ওঁ শান্তিঃ! ওঁ শান্তিঃ! ওঁ শান্তিঃ!”
পূবের আকাশে উদিত সূর্যের মতো আগমন
রাজেন্দ্রাণী বেশে লাজে রক্তিম বৈশাখের
পুরনো শূন্য ঘরে অভিষেক নূতনের
স্বপ্নের ঝাড়লন্ঠন নিয়ে পদাতিক সৈন্য আমরা
ছুটবো তোমার পিছে…
জয়ের নিশান উড়িয়ে
পৃথিবীর শেষ মাইলস্টোন ছোঁবে….
স্বাগত জানাবে তোমাকে অর্ধস্ফুট কুঁড়ির মালা দিয়ে
কচি সবুজ পাতায় আর হিসেবের খেরো খাতায়
লজ্জারাঙ্গা বধূর শাঁখা-পলা
সিঁদুরে রাঙা লাল পাড় শাড়ির আঁচলে
বরণ ডালা হাতে আমি–আমরা…