শতছিন্ন পোষাক , শীর্ণ স্তন , কোলে অবোধ শিশু,
মা খুঁজে ফেরে একটু ফ্যান ভাত , যাতে দুধ পায়
তার সাধের পুতুল ।
বাবুর বাড়িগুলো থেকে আর ভিক্ষা মেলেনা ,
মেলে , যৎকিঞ্চিত টাকা ,
সস্তার হোটেলেও মেলেনা যে খাবার ,
শহরটা যে যান্ত্রিকতায় ঢাকা ।
ফুটপাথে বসে শুধু নেড়ে যাওয়া ,
একমাত্র সম্বল এই সানকিটা ।
রাস্তায় সুর তোলার চেষ্টা তাকে ঠুকে ,
কেউ দেয় , কেউ তাচ্ছিল্যের মুখে বলে —
শহরটা ভরে গেল ভিখারিতে ।
চরম শীতে ছেঁড়া পোষাকে চলে লজ্জা নিবারণ ,
তার একার নয় , লাগবে যে ঠান্ডা তার অবোধের ।
শীত বুড়ো দেয়না রেহাই কাউকে ,
শুয়ে পড়ে অবোধ কঠিন শয্যায় ।
সরকারি হাসপাতালে , চাই চাটুকার ভাই ।
ডাক্তারের জবাব , জায়গা নেই ,
খোঁজ অন্য কোথাও । আর জ্বালিও না আমাদের ।
ধীরে ধীরে ফুড়িয়ে যয় একটা আগামী জীবন ।
কোন ক্রমে অবোধের সৎগতি হয় পুরসভার তরফে ।
ফিরে আসে মা , ঐ বারান্দার তলায় ,
তার বাইশ বছরের সংসার ।
স্বামী কবে ছেড়ে গিয়েছিল , নিজেও জানেনা ,
তখন তো দু চোখে আঁকা ছিল স্বপ্নের পৃথিবী ।
কার ঔরষে জন্ম তার অবোধের , তাও জানেনা ।
আজ অলস বেলায় শুয়ে করে স্মৃতি রোমন্থন ।
রাত দুপুর তার ব্যাথাতুর দেহ ছিঁড়ে খেল ,
কিছু মানব হায়না । না জেনে অবোধের কথা ।
মৃতদেহও কি কথা বলে কোন ” সংবাদ পত্রে ” ?