নিঃসঙ্গ নিশীথ শয্যায় চলে
ঘুমনোর নিরন্তর লড়াই ,
মনের খাতা ভরে যায়
বেকারের সাহিত্য সাধনায় ।
ঘড়ির টিক্ টিক্ আওয়াজে
বর্ষা-বসন্ত কাব্যের অনন্ত কুচকাওয়াজ !
আমার জীর্ণ ঘরের চালে
রাতের পেঁচাটা অমঙ্গল সুরে ডেকে ওঠে।
কম্পিত বক্ষে মা উঠে এসে তাড়ায়-” যাঃ “!
ভেবে অবাক হই –
দিবালোকে অবহেলিত বেকারটার জন্যে
গভীর রাতের নিদ্রা কী করে ভাঙ্গে মায়ের !
প্রহর এগিয়ে যায় –
ক্লান্ত আঁখিতে নামে একসময় আঁধার ।
অবচেতন মনের পর্দায়
সব পাওয়ার ছায়াছবি….
ক্লিওপেট্রার উষ্ণ হাত মুঠোয় –
ফুল ফোটার লগ্নটির শিহরণ প্রাণে ।
অফিসে ফাইল বুজিয়ে
গম্ভীর ব্যাক্তিত্বে লিফটে পা দিয়ে
নেমে এসে
গাড়ীটা হাওয়ায় ছুটাই…… !
ভোরের কাকটার কর্কশ ডাকে
স্বপ্ন টুটে-
ঝাপসা চোখের দৃষ্টি খোঁজে
সংবাদপত্রের দ্বিতীয় পৃষ্ঠা !