চোখের পাতা ভারী হলেই ঘুমের ছায়া নামে,
অম্ভুত যে ছায়ামূর্তি আসে স্বপ্ন খামে।
আঁতকে উঠে ভাবছি যত উঠছি ঘেমে নেয়ে,
চারপাশে তে আপনজনে বেদন ভরে চেয়ে।
কখন দেখি পিতা আমার কখন দেখি মাতা,
কর্তামশাই মলিন মুখে কখন দেখি ভ্রাতা।
সবাই যেন বিবশ দুখে চোখটি ভরা জলে,
আবছা যেন ছায়ামূর্তি কত কথাই বলে।
কখন দেখি দূর দেশেতে যাচ্ছি রেলে চেপে,
মুখোমুখি যে ছায়ামূর্তি দেখেই উঠি কেঁপে।
বকবকানি চলছে কভু হাসিগল্পে মেতে,
বাক্স থেকে সন্দেশটা মা দিচ্ছে যেগো খেতে।
একটু পরে চড়কগাছে চক্ষু উঠে গেলে,
ছায়ামূর্তি মিছিল করে দেঁতো হাসিটা মেলে।
মাতা আমার আদর করে কত কী দেয় হাতে,
হারিয়ে গেছে পিতামাতা যে পলকহারা তাতে।
নিশুত রাতে ছায়া শরীরে ছায়ামূর্তি আসে,
সাধছে গলা একজোটেতে সরগমের রাশে।
মন বাথানে কথামালায় মনে জোছনা ভাসে,
ছায়া শরীরে প্রিয়জন যে মোর কাছেতে আসে।