দিনের কোন সময় তখন
বুঝতে পারছিনা,
সময় কত হলো তাও
বুঝতে পারছিনা।
চারিদিকে কুয়াশা না ধোঁয়া
তাও বুঝতে পারছিনা।
নৌকা বেয়ে নামলাম কোনো এক জায়গায়,
কোথায় বলতে পারবোনা।
তবে চারিদিকে শুধুই ঠান্ডা।
চলেছি একাকী উদ্দেশ্যহীনভাবে।
আলোআঁধারিতে কাউকে কাউকে দেখা যাচ্ছে।
কর্ম আছে তাদের
কিন্তু কোনো ব্যস্ততা নেই।
দুচোখ স্থির।
একজনকে জিজ্ঞাসা করেই ফেললাম,
এটা কোন জায়গা বলতে পারেন?
উত্তর দিল গুরুগম্ভীরভাবে,
“মৃত্যুপুরী”
শুনেই আঁতকে উঠলাম,
কাল অবধি তো সব ঠিক ছিল, তবে?
কয়েকজনকে কিছু লোক ধরে নিয়ে যাচ্ছে,
শুধোলাম, কোথায় চলেছো ওদের নিয়ে,
জবাব এল, বিচারকক্ষে।
অনেকদিন এসেছে ওরা।
আজ বিচার ওদের।
কিছুদূরে দাঁড়িয়ে ছিল আমার এক আত্মীয়,
ছুটে যেতে চাইলাম।
কিন্তু পারছিনা।
এক পেয়াদা বলল,
বাবা মা সন্তান ছাড়া কেউ আত্মীয় হয়না।
থমকে দাঁড়ালাম।
কিছু পরে আবার কিছু লোক নিয়ে চলেছে বিচারকক্ষের দিকে।
ভাবছিলাম কোনো নেতা মন্ত্রীর সুপারিশে হয়তো….
পেয়াদা পড়ে ফেলল মনের কথা।
রেগে বলল, এখানে কর্মের ভিত্তিতে বিচার হয়।
এবার বুঝলাম ভাবাও যাবেনা।
সূর্যোদয়ের অপেক্ষায়।
জানলাম এখানে সূর্যোদয় হয়না।
ভাবলাম এ কি সমস্যায় পড়লাম।
হঠাৎ এক উষ্ণতার আবেশ অনুভব করলাম।
পতিদেবের কথা
অনেক বেলা হলো,
ছুটির দিন বলে আর কত ঘুমাবে?