তীব্র যন্ত্রনায় কুঁকড়ে পড়ে পথের ধারেওই যে ছোট্ট শরীরটা,কে ওই

তোর জন্য অনায়াসে হতে পারি, অভিমানী চাঁদ!তুই কি হবি তবে,

নূপুরের ছন্দে, নাচে আনন্দে,বেলা যায় বয়ে, ডাকেনা তারে কেউ।ঘুঙুরকে ভালোবেসেসেই

সুখের তরে বেড়ায় ছুটেআশায় বেঁধে যে মন,ঘরে আগুন লাগলো কখনবুঝতে

চলার পথে জীবনের বাঁকে বন্ধু হয় বহুজন,সত্যিকারের বন্ধু মেলে তার

পৃথিবীর উষ্ণায়নে গল গলছে বরফ প্রতিদিন,মহাবিপদে আজ প্রাণিকুল।বাড়ছে সমুদ্র জলতল,

সুখী সুখী ভাবটা নিয়েসবাই আছি ঘোরে,মিথ্যে সুখে দিবস যামিকাটাই জীবন

সুখের মহিমা দেখো কি অপার!ছুটছে সবাই সুখের পিছন শান্তির দেখা

বিশ্বব্যাপী স্লোগান হোক একটাই-যুদ্ধ নয় শান্তি চাই ……গোলা বোমা বারুদের

সামাজিক বিভেদে ভাবনারা আজ ক্লান্ত,চাইনি তো হোক এমন জীবনময়!চাইনি এমন

শীতের বিকেলে বন্ধ করেছ দরজাবাউল বাতাস ঢুকবে বলে,হিম পরশে করোনা

সমাজের মুখ ঢাকা আজ কালো আঁধার বৃত্তে,যত দিন যায় ভৈরব

দশ ভুজা মায়ের প্রতিভূ ভবে সকল নারীগন,দশ হাতে সামলাও সর্বক্ষেত্র

তোমার ঠোঁটের কোণের ওইসম্মোহনী চিরায়ত আহ্বানের ইশারায়আর্দ্র অমোঘ আমন্ত্রণ বুকে

আশ্বিন মাসে কৃষ্ণপক্ষের আমাবস্যা তিথিতে,পিতৃ তর্পণ দিয়ে পিতৃপক্ষের শেষ লগ্নে,দেবীর

কি করি এখন….আজও এক সমুদ্র ভালোবাসা বুকে নিয়ে রয়েছি মাঝ

এমন এক ভোরের অপেক্ষায় প্রহর গুনিআশা আকাঙ্খা নিয়ে মনে প্রানে,প্রভাত

বেলাশেষে নীলাভ শিখার রক্তিম বিন্যাসেচেয়েছিলাম দেখতে তোমায়গোধূলির বাসর ঘরে,ঠিক আগের

মৃত্যুর আর্তনাদ, শুনেছ কি কখনো ?হিংস্র শ্বাপদের নিঃশব্দ হানা !পেয়েছ

স্বপ্নালু মায়াবী চোখে দাঁড়িয়ে আছিসমুখে অনন্ত জলরাশি,মোহময় দিগন্তে তারা ঝিকিমিকিঅপূর্ব

কঠোর প্রহরায় প্রহরিত সমগ্র দেশবাসীনিশ্ছিদ্র সুরক্ষার আবরণে আবৃত,জানি একথা সারাবিশ্বের

আশা প্রত্যাশায় জীবন নদীবহে আপন গতিতে,আশা না থাকিলে নিরাশায় মনচায়

শৈশব কোথায়! হারিয়ে গেছে পাইনা খুঁজেমুখ ঢাকা বইয়ের ভারে রাতদিন

এমন এক নভেম্বরের গোধূলি আলোয়তুমি জানিয়েছিলে তোমার অভিলাষ,হালকা টিপ, গোলাপী

সুন্দর এই বিশ্বটা হোক মানবতায় ভরাথাকুক উদার নীতিতে গড়া,সমাজ হবে

আচ্ছা, এমন যদি হ’ত এই ধরামায়াবী আলোয় রুপালি জোছনা ভরা!মুছে

একটি মাত্র ফোননাড়ি কাটে শৈশবের বন্ধন ,আসে দুরান্তেরশেকড় ছেড়া নাভিমূল

একাকিত্বের দুর্বিষহ যন্ত্রণার আবরণেগভীর রাতস্বপ্নগুলো শুধু জেগে,নীল জোছনায় ঘুম আসেনাসুখ

হারিয়ে যাওয়া রূপকথারাহঠাৎ জেগে উঠেচুপিচুপি মৃদু স্বরে কানেকানে কয়,সাত রাজার

ঝুলি ভর্তি অনভিপ্রেত তিক্ত অভিজ্ঞতার সাথেজমাট বাঁধা তিক্ত অনুভূতি গুলো,আজ

নগ্ন উৎপাতে দিশাহারা জীবন চায়শান্তির বারিধারা।কিন্তু ঠিকানা বিহীন পথে পাবে

সমাজের বিকাশ তখনই হয় পূর্ণশিক্ষার বিস্তার যখন ঘটে,জাতি ধর্ম বর্ণ

সকাল পেরিয়ে দিন যত গড়ায় ,নানা রঙের খেলায় দিনের রূপ

অন্তত একবার ভাবো মানুষ বলেযেমনটা তুমি।যদি নাইবা দিলে মনুষত্বের দামতবুও

জীবনের গতিপথ কেমন বদলে গেল হঠাৎ,হ্যাঁ… হঠাৎ ই বলছি,এমনতো হবার

দুঃখের কালবেলায়ওই শোন তপ্ত মাটির নিঃশব্দ কান্না ;নিশ্চুপ অন্ধকারে –বাজে

মনকে আজ দিয়েছি উড়িয়ে,দিলাম বাতায়ন খুলে –যাক ভেসে অনন্ত আকাশের

মুখোশধারী মানুষে মানুষে ছয়লাপ চারিপাশবোঝার কোন উপায় নেই কে ভালো

তোমার মন ভোলানো প্রতিশ্রুতির কথা,আজও আঁচলে বাঁধা, স্মৃতির বাক্সেরয়েছে সযত্নে

না চাইতেই অনেক আশা অনেক কিছুকরলে পূরণ,এবার কেনো ঘটল তবে