মনের ঘরে একটি আয়না আছে–
আয়নাটা ছেলের জন্মদিনে উপহার দিলাম,
বললাম– আয়নাটা কিন্তু বেশ পুরাতন !
প্রতিদিন শত কাজের মধ্যে পরিষ্কার রাখি,
তাই তো আজো রজতশুভ্রা হয়ে আছি!
স্বচ্ছ কাঁচে মুখটা বেশ স্বচ্ছ দেখায় রে !
ভেঙে টুকরো হয়ে গেলে মনটা
ভেঙে চুরমার হবে,
জীবনের প্রতি পদক্ষেপে দেখিস স্বচ্ছতা যেন থাকে,
জানি তুই বিরাট মানুষ হয়েছিস,নাম হয়েছে!
মা ও বাবা তোকে যে ছোট্ট মনটা দিয়েছিল–
ওটা যেন নানান পরিস্থিতিতে বাঁচিয়ে রাখতে পারিস।
জানিস মনের ঘরে একটা আলমারি রেখেছি,
তাতে দেখবি তোর মায়ের সারা জীবনের সম্পদ রাখা আছে,
আর কিছু ইচ্ছে আলমারির লকারে আছে !
হাসছিস বাবা , বুঝতে পারছিস মায়ের এলোমেলো কথাবার্তা!
মাঝেমধ্যে মনটা নানা নেশায় ছটফট করে তো!
মনটা যখন ভিজে যায় তখন মনের ঘরের দক্ষিণ কোণে
চুপিচুপি একটা দড়ি টাঙিয়ে শুকিয়ে নিই।
মনটা ফুরফুরে হাওয়ায় তরতাজা রেখে চোখটা স্বচ্ছ করি
তখন কেন জানি না মনের আয়নায় থমথমে মুখটা দেখি।