Skip to content

Banglasahitya.net

Horizontal Ticker
বাঙালির গ্রন্থাগারে আপনাদের সকলকে জানাই স্বাগত
"আসুন শুরু করি সবাই মিলে একসাথে লেখা, যাতে সবার মনের মাঝে একটা নতুন দাগ কেটে যায় আজকের বাংলা"
কোনো লেখক বা লেখিকা যদি তাদের লেখা কোন গল্প, কবিতা, প্রবন্ধ বা উপন্যাস আমাদের এই ওয়েবসাইট-এ আপলোড করতে চান তাহলে আমাদের মেইল করুন - banglasahitya10@gmail.com or, contact@banglasahitya.net অথবা সরাসরি আপনার লেখা আপলোড করার জন্য ওয়েবসাইটের "যোগাযোগ" পেজ টি ওপেন করুন।
Home » স্টিভেন এডউইন কিং || Sankar Brahma

স্টিভেন এডউইন কিং || Sankar Brahma

স্টিভেন এডউইন কিং

স্টিভেন এডউইন কিং একজন মার্কিন জনপ্রিয় লেখক। তাঁর জন্ম হয় – ২১ই সেপ্টেম্বর, ১৯৪৭ সালে পোর্টল্যান্ড, মেইন-য়ে।
তিনি বিখ্যাত মূলত হরর গল্প ও উপন্যাসের জন্য। তার মোট বিক্রিত বইয়ের পরিমাণ ৩৫ কোটি কপির বেশি।
তাঁর লেখার ধরণ –
ভীতিপ্রদ উপন্যাস, রুপকথা, বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনী ইত্যাদি।
উপন্যাস, ছোটগল্প, কলাম লিখে তিনি বিপুল অর্থ উপার্জন করেছেন।
তাঁর অনেক বই থেকে চলচ্চিত্র, টিভি সিরিজ, মিনি সিরিজ, কমিকস নির্মিত হয়েছে।
তিনি বহু পুরস্কার পেয়েছেন।
তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য পুরস্কারগুলি হলো –
১). ব্রাম স্টোকার অ্যাওয়ার্ডস(২০০৩ সালে),
২). ব্রিটিশ ফ্যান্টাসি সোসাইটি অ্যাওয়ার্ডস(২০০৩সালে),
৩). ন্যাশনাল বুক ফাউন্ডেশন মেডেল(২০০৩ সালে),
৪). ওয়ার্ল্ড ফ্যান্টাসি অ্যাওয়ার্ডস ফর লাইভ টাইম এচিভমেন্ট (২০০৪সালে),
৫). গ্রান্ড মাষ্টার অ্যাওয়ার্ড – মিষ্ট্রি রাইটার অফ আমেরিকা (২০০৭ সালে),
৬). ন্যাশানাল মেডেল অফ আর্টস (US National Endowment For The Arts – ২০১৫ সালে)।

স্টিভেন কিঙের ছোটগল্প

তিনি প্রায় দু’শোর মতো ছোট গল্প লিখেছেন।
১৯৮২ সালে প্রকাশিত হয় তাঁর ছোটগল্প সংগ্রহ –
১). অ্যাপ্‌ট পিউপিল।
২০০২ সালে প্রকাশিত হয় তাঁর ছোটগল্প সংগ্রহ –
২). অল দ্যাট ইউ লাভ উইল বি ক্যারিড অ্যাওয়ে

স্টিভেন কিঙের উপন্যাস

তিনি মোট ৬৪টি উপন্যাস লিখেছেন।
তার মধ্যে কয়েকটি বিখ্যাত উপন্যাস হলো –
১). ক্যারি
২). দ্য শাইনিং
৩). ইট
৪). দ্য ডার্ক টাওয়ার
৫). রিটা হেওয়ার্থ অ্যান্ড শশাঙ্ক রিডেম্পসন
৬). আন্ডার দ্য ডোম
৭). দ্য বডি

তরুণ লেখকদের প্রতি তাঁর উপদেশ হলো –

লেখক হওয়া সাধনা ও নিষ্ঠার ব্যাপার। এর জন্য থাকতে হয় পর্যাপ্ত প্রস্তুতি। কিছু নিয়মপদ্ধতি অনুসরণ করে অবিরাম লেখনীর চর্চা করে যেতে হয়। যারা তরুণ, যারা লেখক হওয়ার স্বপ্ন দেখো, এই কুড়িটি উপদেশ মেনে চলো, দেখবে একদিন লেখক হয়ে উঠেছো, হয়তো বড় লেখক।

১).
টিভি বন্ধ করে বই নিয়ে বসো।সৃজনশীলতার জন্য টিভি হলো বিষ স্বরূপ। টিভি দেখা সময়ের অপচয়। বই পড়ায় ব্যয় করতে হবে বেশি সময়। ব্যাপকভাবে বিস্তৃত বিষয়ে পড়তে হবে, সময় পেলেই পড়তে হবে। বই হবে সর্ব সময়ের সঙ্গী।

২).
সমালোচনা ও ব্যর্থতার জন্য প্রস্তুত থাকো। লিখলে লোকজন তা পাঠ করবে এবং কেউ কেউ সমালোচনা করবে। আবার কখনও কখনও লেখা ছাপা হবে না বা কেউ পড়বে না। কিন্তু এসবের জন্য দমে গেলে চলবে না মোটেও।

৩).
অন্যকে সন্তুষ্ট করার জন্য নয়, বরং নিজের দায়িত্ববোধ থেকে লেখো। সত্য বলতে হবে, তা যত তিক্তই হোক। নিজের বিবেক ও প্রজ্ঞাকে কাজে লাগাও।

৪).
প্রাথমিকভাবে নিজের জন্য লেখো। লেখাটাকে আনন্দের বিষয় করে নিতে হবে। যা ভালো লাগে, তা-ই নিয়ে লেখো। নিজের ওপর কোনো জিনিস জোর করে চাপিয়ে দেবে না, যা থেকে বিরক্তি উৎপন্ন হয়।

৫).
কঠিন সমস্যা নিয়ে চিন্তা করো, আড়ালে থাকা বিষয়কে তুলে আনো। জীবন ও সমাজের কোনো জটিল সমস্যার ওপর আলোকপাত করো, যা সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করবে।

৬).
লেখার সময় সমস্ত জগৎ থেকে নিজেকে বিচ্ছিন্ন করো। যখন লিখতে বসবে, তখন লেখা ছাড়া অন্য কোনো বিষয়ের প্রতি মনোযোগ দেবে না। জাগতিক ঝুটঝামেলা থেকে মুক্ত হয়ে একাগ্র মনে লিখতে হবে।

৭).
পাণ্ডিত্যের ভান করবে না। অযথা গুরুগম্ভীর শব্দ ও জটিল বাক্য ব্যবহার করে অন্যকে চমকিত করার চেষ্টা কোনও কাজের বিষয় নয়।অকারণে ঘুরিয়ে- পেঁচিয়ে বলার অভ্যাস ত্যাগ করো।

৮).
ক্রিয়া বিশেষণ(যেমন অত্যন্ত অসাধারণভাবে ) কম ব্যবহার করবে এবং অনুচ্ছেদ ছোট রাখবে।
অধিক ক্রিয়াবিশেষণ ভ্রান্তি এবং লম্বা অনুচ্ছেদ চোখের জন্য ক্লান্তিকর।

৯).
গল্প লেখার সময় কাহিনীর দিকে নজর
দেবে, ব্যাকরণের দিকে নয়। কাহিনীকে মনোগ্রাহী ও সুষমামণ্ডিত করার জন্য যে রকম শব্দ যেভাবে ব্যবহার করা প্রয়োজন ঠিক তা-ই করতে হবে।

১০).
শৈল্পিক বর্ণনার কৌশল রপ্ত করো।
সঠিক শব্দ ও বাক্যে ( স্পষ্ট ও উজ্জ্বল ভাবে) বিষয় ও ঘটনার বিবরণ দিতে হবে যাতে তা পাঠকের মনে দাগ কাটে । প্রয়োজনে ভাষার অলংকারের আশ্রয় নাও।

১১).
গল্পকে বেশি তথ্যবহুল করবে না।
গল্পকে তথ্যে ভারী করে ফেললে তা গল্পের মজাকে নষ্ট করে, পাঠকের মনোরঞ্জনে ব্যর্থ হয়। চরিত্রায়ণ ও ঘটনা বিন্যাসে বেশি প্রাধান্য দেবে।

১২).
মানুষজন বাস্তবে কী করে তা নিয়েই গল্প ফাঁদো। বাস্তব থেকে গল্পের উপাদান সংগ্রহ করো, তাতে কল্পনার রং লাগাও, আখ্যানকে বিশ্বাসযোগ্য করে তোলো।

১৩).
নতুন বিষয় নিয়ে লেখো। পুরোনো বিষয়
নিয়ে চর্বিত চর্বণের কোনো অর্থ হয় না। যা
মানুষ কখনো ভাবেনি তাই নিয়ে লেখো। ভিন্ন
দৃষ্টিকোণ থেকে দেখো ও লেখো। ঝুঁকি নিতে
পিছ পা হবে না।

১৪).
অন্য কোনো লেখককে হুবহু অনুকরণ করে লিখবে না। নিজের স্টাইল তৈরি করো। নিজের ধ্যান-ধারণা থেকে নিজের মতো করে লিখো, স্বকীয়তা নিয়ে।

১৫).
শব্দ ও বাক্যের মাধ্যমে তোমার ধারণাগুলো পাঠকের মনে সঞ্চারিত করো।
লেখার সময় কোন ধরনের পাঠকের জন্য লিখছো, তা মাথায় রাখো, আর তোমার ধারণাগুলো তাদের উপযোগী করে প্রকাশ করো।

১৬).
লেখা-লেখিকে গুরুত্বের সঙ্গে গ্রহণ করো। লেখাকে করতে হবে ধ্যান-জ্ঞান। একমাত্র সাধনা।দায় সারা কাজ কাম্য নয়। লেখালেখির বিষয়ে যে যত সিরিয়াস, সে তত সফল।

১৭).
প্রতিদিন কিছু না কিছু লেখো। বই পড়াকে
যেমন, তেমনি লেখালেখিকেও নিত্যকার অভ্যাসে পরিণত করতে হবে। লিখতে লিখতে লেখায় হাত আসে।

১৮).
কোনো কিছু লেখার পর সেটি পুনরায় দেখো।
নিজের লেখার প্রথম পাঠক হবে নিজেই।
সমালোচকের দৃষ্টি দিয়ে নিজের লেখা ব্যবচ্ছেদ করো। আর এটা করতে হবে নির্দয়ভাবে।

১৯).
নিজের শরীর ও মনের যত্ন নাও। শরীর
সুস্থ থাকলে এবং মনে সুখ থাকলে লেখালেখি
সহজ হয়। পারিবারিক জীবনের শান্তি এ’ক্ষেত্রে বিশেষভাবে সহায়ক।

২০).
চেষ্টা করো তিন মাসে, একটি বইয়ের খসড়া তৈরী করতে। প্রতিদিন ১০ পৃষ্ঠা করে লিখলে, তিন মাসে প্রায় ৯০০ পৃষ্ঠা (১ লাখ ৮০ হাজার শব্দ) হয়ে যায়। তারপর সেটিকে পরিমার্জন করে প্রকাশের উপযোগী করতে আরও কয়েক মাস লেগে যাবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *