সেই রাতে
হৃদ মাঝারে ছিন্ন বীণায় বেদনার সুর গোপনে ধায়। গোধূলি বেলায় একাকী বসে সেই নির্জন স্টেশনে, যে স্মৃতি মাঝে মাঝেই মনে জাগায় ত্রাস। আনমনা বসে নির্জন স্টেশনে চুপকথা সাথে করছি যাপন। ঝঙ্কারহীনা নিঃস্তব্ধ রাতে হঠাৎ শনশন আওয়াজে ভয়ার্ত শিহরণ গায়, চমকে উঠি। কখন হয়েছে রাত্রি বেশি ছিলোনা খেয়াল।
কষ্টকল্পে ভাবনার আবেগে রুদ্ধ নিঃশ্বাস। অকস্মাৎ সেই মুহূর্তে সামনে দেখি কালো ছায়ার কায়া। চেতন আঙিনায় বোধ হলো যেন কোনো শেয়াল।
বুকে ধরাস, চোখ ঘুরিয়ে আবার তাকাতেই দেখি একজন লোক আমার পাশে একটু দূরে বসে হাসছে মৃদু। বললো , কখন আসবে এই স্টেশনে আপনার ট্রেন, রাত যে অনেক হলো।
জোনাকির মতো থেকে থেকে আলোর ঝলকানি তার চোখে। ভয়ে মন দিশেহারা; শরীর হিম , বললাম যাবো কাছেই ওপার। বললো চলুন রাত হয়েছে আমিও যাবো কাছেই। বিভীষিকা দেখি , উপায় নেই নির্জন স্টেশনে একা। চললাম সঙ্গে, হঠাৎ দেখি রক্তে ভেজা তার সমস্ত গা।
আতঙ্কে চিৎকার করে অজ্ঞান হয়ে পড়ে যাই।জ্ঞান হলে দেখি বাড়িতে শুয়ে আছি আমায় ঘিরে লোকজন। ঘটনার কথা শুনে সকলে অবাক হয়ে বলে, গতবছর এই দিনে এই স্টেশনে ট্রেনে কাটা পড়েছিল অজ্ঞাত একজন।