তৃপ্ত, এখনো সেই আশ্রয়ে বেঁচে আছি ।
রোজ সকালে ঘুম থেকে উঠে চোখ খুলে
যাকে খুঁজি ।
সেই চোখ ।
স্নিগ্ধ সকাল, দুপুর হতে সামান্য কিছু বাকী।
সেই সাত সকালেই জেনে গ্যাছি টুটু মাসির ভালবাসার এনাটমি।
সে এল _ সেই চোখ _
আমার ছোট্ট ভেলা,
সেই যে নোঙর ফেলল
আর হয়নিতো কালবেলা ।
দু চোখে শান্ত দ্বীপের ছায়া ,
আঁকাবাঁকা রঙীন পথে
হিজল জারুলের মায়া।
সমস্ত শরীর জুড়ে ধীরে ধীরে হেঁটে যায় কত শঙ্খ।
তবুও সাপেরা আসে প্রেয়সী নিয়ে মত্ত হয়,
গাছেরা দ্যাখে এখানেই সাপেদের শঙ্খ ।
তুমি শান্ত , তুমি নির্বিকার
তোমার গায়ের জুঁই ফুলের গন্ধে
মিলেমিশে একাকার ।
তোমার নাভির গন্ধে হিংসা ভুলে যায় শ্বাপদের দল।
তোমাকে দেখেই সমুদ্র স্নানে নামে তারাদের দঙ্গল।
ফাঁকা স্টেশনে অনর্গল বৃষ্টিতে আমার নিশ্চিন্ত একটাই ছাতা, তুমি।
তোমার ভালোবাসা বিপদে, শঙ্কায়
সর্বদা যায় চুমি।
পথ হারিয়ে যদি চলে যাই কোনো বনভূমি।
তুমি আছো জানি আমি,
আর জানে অন্তর্যামী।
এখন অনেক সময় হলো,
বিকেল পেরিয়ে প্রায় সন্ধ্যা এলো।
তবু সেই চোখ আমার আশ্রয়ভূমি।
বড্ড ভালোবাসি, পাখির বাসায় জড়ানো তোমার ঐ দুটো চোখ।
যেখানে গচ্ছিত আছে আমার অভিমান,যন্ত্রনা,গভীর কোনো শোক।
রেখো না আমার প্রতি কোনো অভিযোগ।
সুধা এসেছিলো ফুল নিয়ে অসুস্থ অমলের জন্যে।
আমার মৃত্যুর সমন এলে মৃত্যুদূতকে বলে
মেলে ধোরো তোমার ঐ দুচোখ
যেখানে আমার আশ্রয়।
আমিও হারিয়ে যাবো সেই চোখের
গভীর অরণ্যে।