তুমি সবকিছুই ভাব আমি কুড়িয়ে পেয়েছি?তুমি সবকিছুই ভাব আমি এমনি

অভাব দাও, একটু অভাব দাও প্রভু                              আজ সবাই ধনী                        আজ

আমার এই কবিত্বকে আমার সকল আত্মীয়রা মেনে নিতে পারছে না

সব শব্দগুলো লিখবার জন্য শব্দ হয়নিসব হিসেবগুলো হিসেবের জন্য জন্মায়নি,সব

আজকাল কোনো মানুষের সাথেই কথা বলতে ভালো লাগে না            ভালো

তুমি এতটাই নির্লজ্জযতটা রাস্তার কুকুরটাও নয়তুমি এতটাই বজ্জাততুমি কোন জাতের

পাখির ডাকে ঘুম ভেঙে যায়হঠাৎ করে কোন পাখি ডাকলো আমায়ঘুমন্ত

আমি তরল, আমি গরল, আমি সরলআমি কঠিন, আমি গহীনআমি অগ্রজ,

আজ আর কিছু দেখিবার নাইতাই চক্ষু বন্ধ রাখিলামঅনায্যরা ফুলের মত

আমি সেই পাগলশুধু আমি ছাড়া আমার সবটুকুই নকল;নকল আমার অভিমাননকল

চারিদিকে শুধু ঝঞ্ঝাটযা কিছু লিখি,যেদিকেই যাই——–কপাল জুড়ে শুধুই অপবাদ, আমার

এই শান্ত দুপুরে বনলতা নেই কাছেকোন ইতিহাস লিখে যাবো দশকের

এই সময় সময়ের অসময়গৃহরাজ ভেঙে ফেলে ব্রতনিয়তি দর্শায় কতশত ভূমি

ঝড় এলে বড় ভয় হয়ঝড় এলে কত কত গরু; ছাগল;

একটা কবিতা লিখবো বলেকতদিন ধরে একটা নির্জনতা খুঁজছিএকটা কবিতা লিখবো

এই মুহূর্তে একটিএটমবোমের মত কবিতা লেখার খুব প্রয়োজনযে কবিতার প্রতিটিঅক্ষরে

শুনছেন……… ? কেউ শুনছেন…………..?শেষ হয়ে যাচ্ছে বাংলা সংস্কৃতি।বিক্রি হয়ে যাচ্ছে

প্রকৃতির সাথে পথ হাঁটাপ্রকৃতির সাথে কথা বলাপ্রকৃতির সাথে কাটাই দিন

আর নয় এখানে ;যাব চলে সেখানেইহা প্রতিবাদ ঢাকা পড়ে নেতাদের

ঝড় হয়েছে গতকালভেঙেছে কত গাছের ডালরক্তকরবীরা পড়েছে লুটায়ে ঐ শত

পৃথিবীর রাশিফল আমি গুনে চলি অনর্গলকারা যেন বাকরুদ্ধ হয়ে পিছু

হে মোর প্রিয়তম বাংলা                আর কত খুন হবে বলো না?         

তোমরা রাজনীতি করে গেলে সারা জীবন।দেশটাকে টেনে-হিঁচড়ে—-তার ঘাড় মটকে সব

সবাই যেন লাশ হয়ে আছে আজকেউ দেখেও দেখে না কোনো

মনের ভেতরে জন্ম নেওয়া যত আয়োজনসহজেই হবে সব বিসর্জন;জীবনের বর্ণমালায়

একলা থাকুন;একলা চলুন; ঘরের কোণে একলা কথা বলুন,ভারত মায়ের কান্না

দক্ষিণা হাওয়ায় মাধবীর ঢলবৈশাখেতে মোদের গরমের ছুটিহাসব ,নাচব ,গাইব মোরা

লাস্ট মেট্রো চলে গেছে অনেক আগেই              ট্যাক্সি স্ট্যান্ড ফাঁকা,      

আমি কি করতে পারি নি সেগুলোই মনে রেখেছোআমি কি করতে

সতেরই মার্চ উনিশশো বিশেনতুন সূর্য বুঝি উঠলো হেসে,বঙ্গ আকাশে সবুজবাতিপ্রাচীন

জীবনের সাথে নেচে বেড়ায় মরণের আতঙ্কএখন সময় ঘরে বেঁচে ফেরার

এ যেন মোর পুনর্জনম আমার জীবনে আমি কবি হওয়ার ইচ্ছাটা

সকলের সাথে মেলাতে চেয়েছিলাম হাতকেউ মেলায়নি হাতঅভাগা এই মনুষ্য জীবনের

ওরা সবাই চলে গেছে পড়ে আছি আমি একাহবে কি? হবে

আমি শত্রু রবো না চিরদিনআমিও তোমার বন্ধু হবো একদিনহতে পারি

ভয়ানক আগুন লিখে রাখি ফাল্গুনের মাথার উপরভরা ফাগুনে সেজে আছে

ছেলেদের মগজ ধোলাই ,করছে শুধু বউয়েরাইমা-বাবা,সেতো ভাগ্যের চাকাআমার ভাগ্যকে এগিয়ে

নেশা করে বসে থাকিহয়েছি যে নেশাখোর ;কবিতার কথা ভেবে ভেবেকখন

এ শহরের পয়সাওয়ালারা সব ভিখারি হয়ে যাচ্ছেপয়সাওয়ালা ভিখারিদের পিছনে ছুটছিল

মানুষ কেন বদলে যায়ফুল কেন ঝড়ে যায়সময় সেতো বয়ে যায়শুধু