ওগো কবি,সাহিত্যের সর্বস্তরে ছিল তব বিচরন,
বিস্ময়ে পাঠরত মনে করি নিয়ত অনুধাবন।
একাধারে কবি উপন্যাসিক ছোট গল্পকার,
ছিলে দক্ষ সম্পাদক সাহিত্যের আধার।
শিশুর মত কোমল মানসিকতা সনে,
লিখেছো কতনা গল্প সৃজনশীল মনে।
বিবিধ মানব চরিত্র লিখেছো তুমি গভীরতা নিয়ে,
প্রবন্ধ,আলোচনা পাঠে সমৃদ্ধ সবার হিয়ে।
আত্মোপলব্ধির দক্ষতা সকলের কখনোই সমান থাকেনা,
সুন্দর লুকিয়ে থাকে মানুষের নিজেরই আড়ালে, মানুষ দেখেনা।
বুঝে নাকো কি আছে অন্তরে পারিজাত নির্যাসে,
তোমার নিপুণ মসিতে তুলে ধরেছো অটুট আত্মবিশ্বাসে।
কবিতা- গল্পের পাশে উপন্যাসের গতিপথে,
‘সেইসময়,’প্রথম আলো,পূর্বপশ্চিম ‘মনের স্বর্ণ রথে।
সৃজনশীলতা গুণে পেয়েছো কবি সাহিত্য একাডেমী,
আনন্দ,বঙ্কিম পুরস্কার,
সাহিত্যের বলয়ে উজ্জল জ্যোতিষ্ক তোমারে নমস্কার।
ইতিহাস,সমকালীন প্রেক্ষাপট,প্রেম,নাগরিক জীবন,
অনায়াসে রেখেছো স্বাক্ষর অতুল্য সব ধন।
বাংলা সাহিত্য হয়েছে সমৃদ্ধ তোমার লিখনী দ্বারা,
নীললোহিত,সনাতন পাঠক,নীল উপাধ্যায় ছদ্মনামে সবার নজর কাড়া।
অতুল তব সৃজনীশক্তি নীললোহিতের আড়ে,
সক্ষম হয়েছে পৃথক সত্তা গড়তে জনমানসের দ্বারে।
নাটক,নভেল, ভ্রমণকাহিনী প্রবন্ধ কাব্য কবিতা,
রচনাতে সিদ্ধ সব্যসাচী তুমি যে নভেল সবিতা।
ওগো মরমী সনাতন পাঠক মোদের প্রাণের কবি,
বিশ্বহৃদয়ে শ্রদ্ধাভরে অঙ্কিত তোমার ছবি।
কেমন আছো নীললোহিত তোমার দিকশূন্যপুরে!
তোমার জন্যে হৃদ মাঝারে বিষাদ রাগিনী জুড়ে।
চিরভাস্বর মনন মাঝে- তোমার অপার সৃষ্টি ধন,
‘এককম্বলের নীচে,’এলাচের কৌটো’,’বাবা ‘পাঠে বিবশ যে হয় মন।
যেখানে গেছো অচিনপুরে লেখো কি বসে সেথা?
কাব্য পাঠে তোমায় স্মরে মনে জাগে ব্যথা।