সুনির্মল ঘোষ
লেখক পরিচিতি
—————————
নাম : সুনির্মল ঘোষ
1953 সালের 15 ই অগাস্ট সুনির্মল ঘোষ এর জন্ম উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলার চাকদহ গ্রামে মাতুলালয়ে । তারপর শিশুকাল থেকে আপাত জীবন কলকাতায়। জীবনের প্রথম কবিতা প্রকাশিত হয় সুনির্মল এর তেরো বছর বয়সে । তারপর থেকে আনন্দবাজার পত্রিকা অমৃত ঘরোয়া দৈনিক বর্তমান সাপ্তাহিক বর্তমান ছাড়া ও দেশের বিদেশের বহু কাগজে ম্যাগাজিনে লেখা প্রকাশিত হয়ে চলেছে ।মাঝখানে দীর্ঘদিন একেবারে ব্যক্তিগত কারণে সাহিত্যের আঙ্গিনায় বিচ্ছেদ ঘটে বিপত্তির সৃষ্টি হয়েছিল । কবিতা থেকে গল্প লিখতে পছন্দ করে বেশী। যৌবনে আকাশবানীতে প্রায়শই স্বরচিত কবিতা বিভিন্ন কথিকা পাঠ করতেন ।
সুনির্মল ঘোষের কবিতা

লেখকের সৃষ্টি

বিবর্ণ সময় || Sunirmal Ghosh
বিবর্ণ সময় মেঘ সরিয়েতুলির আঁচড় কাটছে আকাশে,বুকের ভেতর।নীরব মিছিল করছে

ফিরিও না বারে বারে || Sunirmal Ghosh
ফিরিয়ে নেওয়ার এতই যখনতাড়া তোমার,তবে জন্ম দিয়ে পাঠাও কেনএ সংসারে,

ভুখা বসন্ত || Sunirmal Ghosh
পর্ণমোচি বৃক্ষের পাতায় হাওয়া দোল খেলেই ঢেউ বাড়ে সমুদ্রে, মেতে

বিশ্ব কবিতা দিবস || Sunirmal Ghosh
উনুনে জল চাপিয়ে বসে আছে সেই সকাল থেকে,সকাল ফুরিয়ে গেল

বনানী তোকে || Sunirmal Ghosh
একমুঠো রোদের বিনিময়ে তোকে কিনেছিলাম বনানী,ইচ্ছে ছিল মুঠোর পুরো রোদটাই

স্বাধীনতা তুমি কার? || Sunirmal Ghosh
মায়ের ডানা থেকে ছিটকে বেরিয়ে গেলবুলবুলি পাখিটা।আকাশের দিকে তাকিয়ে সে

ভালোবাসার নিলামে || Sunirmal Ghosh
মুখর হলো ছায়ায় মোড়া অপূর্ব এক শান্ত বনভূমি,সকাল,বিকেল ফিসফিসানিরাত্রি হলেই

আলোকবর্তিকা || Sunirmal Ghosh
গুহার মুখে আলো জ্বাললো সে,গুহার ভেতরে বাইরে মেয়ের শরীর বেয়ে

তাঁর ছায়াতে || Sunirmal Ghosh
কথাটা অন্যভাবে বলবো বলে এড়িয়ে যেতে চাই যাকেতাঁর দীর্ঘ ছায়া

জ্বলন্ত লাভার খনি || Sunirmal Ghosh
আমাকে দেখতে এসেছো যারানেমে যাও গহন গভীরে।ভালো করে চেয়ে দেখো,কি

আমার ইচ্ছেরা || Sunirmal Ghosh
যখন ভীষণ বিমর্ষ হয়ে যাইখুঁজে পাইনা কোনো শব্দমালা,তখন মধ্য গগনে

সুচেতনার আঁখিতে || Sunirmal Ghosh
সে এলো কুসুম কুসুম ভোরেনদী তীরেশুভ্র বসনে শিশিরের ঘ্রাণ।শরীর জুড়ে

খন্ডচিত্র দুহাজার তেইশ শুরু || Sunirmal Ghosh
(১) অস্ফুট প্রত্যুষ পাখিটা ডেকেই ভাবলো ভোর কি হয়েছে?শিরিষ গাছের

আমার স্রোতস্বিনী || Sunirmal Ghosh
কিভাবে সাজাই তোমায় বলতো ?বহুদিনের ইচ্ছে আমার মনের মাধুরী দিয়ে

বিষণ্ণতায় নদীর জলও কালো হয় || Sunirmal Ghosh
তৃষ্ণার্ত হরিণী ছুটে যায় জলাশয়ে,জলাশয়ের ঠিক ধারে চুপ করে শুয়ে

স্বপ্নের সাঁকো || Sunirmal Ghosh
সাঁকো ভেঙে গেল সেই রাতেমে রাতে তুমি বলেছিলে, ফোন রাখোএই

সেদিন শুধু ভালবাসার দিন || Sunirmal Ghosh
এখন ফাগুনমনে ও বাতাসে আগুনচারধার জুরেআকাশে বাতাসে শুধু কানাকানিফুলেতে ছেয়েছে

মোহন বাঁশি || Sunirmal Ghosh
তোমার শরীরের প্রকোষ্ঠ থেকেভালোবাসা শুঁকে নিতে চাই।কোনোদিন স্পর্শ করিনি তোমায়,পাছে

একুশে ফেব্রুয়ারি || Sunirmal Ghosh
আমার মা বিপন্ন হয়ে তখন ঘুরে বেড়াতো পথে-ঘাটে, মসজিদে, মন্দিরে,

দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর ছায়ায় || Sunirmal Ghosh
দিগন্ত প্রসারিত ওই যে মাঠযেখানে ছুঁয়েছে আকাশ,ওখানেই ছুটে চলে ভয়ঙ্কর

তোমার স্রোতে || Sunirmal Ghosh
সুন্দর বলে ভালোতোবাসিনীভালো যে বেসেছি গুনে,চোখেতো দেখিনি তবু ভালোবাসিশুধু কানে

জিনিয়া ফিরছে || Sunirmal Ghosh
কাল মাঝরাতে শুকতারা এসে বলেছিল সংগোপনে,জিনিয়া আসছে ফিরে।তার সব নীরবতা

জিনিয়া, একবার এসো ফিরে || Sunirmal Ghosh
আকাল লেগেছে ফুলের বাজারে,কোনো কুঁড়ি আর ফুল হয়ে ফোটেনা।মৌমাছি, প্রজাপতি

বড়ো নির্জনে || Sunirmal Ghosh
শ্যাওলা জমেছে বহুদিন ধরেএকটু একটু করে,এখন কবির গার্হস্থ্য জীবনের চরাচর

জিনিয়া ডাকলে || Sunirmal Ghosh
জিনিয়া ডাকলে ভেন্টিলেশনে থাকা রোগীহেঁটে হেঁটে এসে সকলকে ফুল দিতে

ধর্মের এক নাম খিদে || Sunirmal Ghosh
সাত সকালেই একথালা ভাত পাওয়া গেলো, হোকনা টোকো গন্ধ।কারুর ফেলে

বাইশে শ্রাবণ ( ২০২২) || Sunirmal Ghosh
বর্ষার কামড়ের বিষে সেদিনও ছিল রজনীগন্ধা মূহ্যমান,আজও রজনীগন্ধা বর্ষার কামড়ের

অপেরা হবে || Sunirmal Ghosh
অপেরার কুশীলব সবাই সেজেছে আপন খুশিতে আপন ঢঙেহ্যাজাক নেই পেট্রাম্যাক্স

স্বাধীনতা ও আমার জন্মদিন || Sunirmal Ghosh
তুমুল বৃষ্টি ঝাপসা চারধার তবুও নীলিমায় নীল তুমি ও তোমার

স্রোতস্বিনী, রাজনন্দিনী একবার এসো || Sunirmal Ghosh
আমার হৃদয়ের চারপাশে এখন জন্মেছে অনেক উলু ঘাস।সেখানেই বৃষ্টি হয়

যদি কোনদিন || Sunirmal Ghosh
তুমি কি জানো_রোজ রাতে রেখে আসিতোমার দক্ষিণের জানালার নিচেশিশির ভেজা