স্বপ্নগুলো উড়ে যায়
গভীর রাত্রির উদাস পথিকের ন্যায়,
নয়তো অলস দুপুরের নিরালায়
ঝির ঝির বৃষ্টির উত্তাল হাওয়ায়,
অনুভবের চিলেকোঠায়
কখনও অপুষ্ট ভূমির ভাঙ্গা নীলিমায়,
কিম্বা অশ্রুভেজা বিছানায়
জায়গা দিয়েছি অচেতন চিতে
বুনো বাসনার প্রাজ্ঞ আশ্লেষে
দীর্ঘশ্বাসের শুঁড়িখানায় নিমগ্ন নেশার ঘোরে
লজ্জার সকল সীমারেখা অতিক্রম করে
ম্লান অঙ্গে জড়িয়েছি কতো
অবিনাশী কাব্যের অধীর ক্ষণে।
কখনও বা ধুলোবালির সাথে
উড়ে এসে পড়ে অবিন্যস্ত টেবিলে
কালের বিকৃত মূর্তির মতো,
যেথা টুকরো টুকরো জ্যোৎস্নারা
সবে মাত্র দুঃস্বপ্নের সঙ্গে জায়গা বদল করে নিচ্ছে,
দেওয়ালের পিঠে আগাছার নাভিমূলে
নিঃশব্দ লাজুক ছায়াহীন
অনাগত পাঁজরের ব্যর্থ কফিনের শেষ পেরেকে
অর্ঘ্য দিয়ে সাজানো নিস্তব্ধ ধূপগন্ধে
স্বপ্নগুলো প্রেয়সীর নরম হাতের উষ্ণ স্পর্শের মত,
অ্যাডামের যত প্রেমের বারতা সাজিয়ে
তীরে বসে গুনছে নীরবতা
হায়নার নখরে রক্তাক্ত মানচিত্রে
আর্তনাদ, আজাহারী, কনভয়ের পাটাতনে
ডাঙায় , অন্তরীক্ষে এভাবেই উড়ে চলেছে
অজামিনযোগ্য খুনের সাক্ষী হয়ে,
অর্ধদগ্ধ জীবনের অভিঘাত হয়ে
সকল দুর্যোগ বা মাহেন্দ্রক্ষণের হত্যাযজ্ঞে লিপ্ত হতে।