খাটের নিচে হমডু বসা
খাটের নিচে হমডু বসা। তার হাতে আমিষ আচারের কৌটা। সে কৌটায় চামচ ড়ুবিয়ে দ্রুত খাচ্ছে। খাবার দৃশ্যটা দেখছেন সানাউল্লাহ। তিনি মেঝেতে হাঁটু গেড়ে বসেছেন।
হমডু! তোর খবর কী?
ভালো।
তোর বোনের খবর কী? ডমরু। তার জ্বর কমেছে?
হুঁ।
আচারটা খেতে কেমন?
ভালো।
এর নাম আমিষ আচার। ভিটামিন বি কমপ্লেক্স সমৃদ্ধ। পুরো বোতল একা খেয়ে ফেলেছিস! পেট নেমে যাবে তো। হেগে বাড়ি নষ্ট করবি।
হমডু জবাব দিল না। হেগে বাড়ি নষ্টের ব্যাপারটা মনে হয় সে বুঝতে পারে নি। হয়তো ওদের মধ্যে ঐ সিস্টেমই নেই।
তোর জন্যে শার্ট প্যান্ট এনেছি, দেখেছিস?
হুঁ।
তোর বোনের সাইজ জানি না। তাপরেও একটা ফ্রক অনলাম। ফিটিং হবে কি-না কে জানে।
হমডু বলল, হবে।
দুই ভাইবোন মিলে জামা কাপড় পর। দেখি কী অবস্থা।
হমড়ু বলল, জুতা আনেন নাই?
সানাউল্লাহ বললেন, তোর জন্যে রবারের জুতা এনেছি। ডমরুর পায়ের মাপ জানি না তারটা আনা হয় নি। পায়ের মাপ দিয়ে দিস নিয়ে আসব। তোরা এখন খাটের নিচ থেকে বের হ। আমি তোষক পেতে দেই। তোষকে আরাম করে ঘুমাবি। শিমুল তুলার তোষক। মাখনের মতো মোলায়েম।
সানাউল্লাহ তোষক পাতলেন। তোষকের ওপর চাদর বিছালেন। দুটা ছোট বালিশ এবং একটা কোলবালিশ কিনেছিলেন, সেগুলি সাজাতে সাজাতে বললেন, তোদের কি পানি খাবার অভ্যাস আছে? পানির গ্লাস জগ রাখব?
হমড়ু বলল, না। মধু রেখে দিন।
খেলনা কিনেছি। খেলনা দিয়ে খেলবি?
খেলব।
ব্যাটারি অপারেটেড খেলনা। বোতাম টিপবি খেলনা চলবে! বোতাম টিপতে পারিস?
না।
এই তো আরেক যন্ত্রণা। ঠিক আছে, সব সমস্যার সমাধান আমার কাছে আছে। যখন খেলতে ইচ্ছা করবে আমাকে বলবি আমি বোতাম টিপে দেব। চলবে না।
চলবে।
প্রথম কোনটা দিয়ে খেলতে চাস? মাছটা ছাড়ব? বোতাম টিপলেই মাছ লেজ নাড়তে নাড়তে তোর দিকে যাবে। ছাড়ব?
আচ্ছা।
বোতাম টিপে মাছ ছাড়তেই এক কাণ্ড হলো। হমডু ভয়ে চেঁচিয়ে উঠল। ডমরুও চেঁচাতে লাগল। সানাউল্লাহ প্রথমবারের মতো ডমরুর গলা শুনলেন। তিনি তাড়াতাড়ি মাছ আটকালেন? ভূতের বাচ্চারা যে সামান্য মাছ দেখে এতটা ভয় পাবে তিনি ভাবেন নি। ভাইবোন দুজনই কাঁদছে। ভাইটাকে দেখা যাচ্ছে। বোনকে দেখা যাচ্ছে না। তার কান্নার শব্দ পাওয়া যাচ্ছে।
সানাউল্লাহ বললেন, ভয় নাই। আর ভয় নাই। এই দেখ ব্যাটারি খুলে ফেললাম। এখন খুশি?
হমডু হ্যাঁ-সূচক মাথা নাড়তে নাড়তে চোখ মুছল। সে ব্যাটারি ছুঁয়ে দেখল। সানাউল্লাহ বললেন, এই দুটা হলো ব্যাটারি। এখান থেকে কারেন্ট তৈরি হয়। কারেন্ট খেলনা চলে। তুই একটা হাতে নে। বোনের হাতে একটা দে। ভয় কাটুক।
কলিংবেল বাজছে। সানাউল্লাহ উঠে দাঁড়ালেন। তাঁর বাসায় কেউ আসে না। কে এসেছে বুঝতে পারছেন না। রাত আটটা বাজে তাঁকে হোটেলে খেতে যেতে হবে।
দরজা খুলে তিনি হতভম্ব। রফিক দাঁড়িয়ে আছে। তার হাতে একটা ইলিশ মাছ। রফিককে কী বলবেন বুঝতে পারছে না। কঠিন ধমক দেয়া উচিত। চুরি করে ভেগেছে এখন ইলিশ মাছ নিয়ে উপস্থিত। বদের বাচ্চা। সানাউল্লাহ ধমক দেবার প্রস্তুতি নিলেন। কয়েকবার খাকাড়ি দিয়ে গলা পরিষ্কার করলেন। যখন ধমক দিতে যাবেন তখন রফিক বলল, স্যার কেমন আছেন?
তিনি বললেন, ভালো।
রাতে খাওয়াদাওয়া হয়েছে?
না।
খান কই? হোটেলে?
হুঁ।
ইলিশ মাছ নিয়া আসছি। বেগুন দিয়ে বাঁধি। স্যার, ঘরে কি বেগুন আছে? জানি না। খুঁজে দেখ।
রফিক রান্নাঘরে ঢুকে গেল। সানাউল্লাহ ধমক জমা করে রাখলেন। সুবিধামতো সময়ে ধমক দিলেই হবে। তাড়াহুড়ার কিছু নাই। রাতে তাকে আজ হোটেলে খেতে যেতে হবে না। এই আনন্দেই তিনি অস্থির। আনন্দের সময় ধমক আসতে চায় না। তবে এর মধ্যে রফিক যদি নিজ থেকে ক্ষমা চেয়ে ফেলে তাহলে ভিন্ন কথা। ক্ষমা চাওয়ার পরে অপরাধ থাকে না। তিনি রান্নাঘরে ঢুকলেন।
রফিক বিপুল উৎসাহে কাজে লেগে পড়েছে। এখন মাছ কুটছে। রফিক বলল, বেগুন ঘরে নাই স্যার। আলু আছে। আলু দিয়া ঝোল করি, আর এক পিস ভাইজা দেই। ঠিক আছে স্যার?
হুঁ।
এখন কি এককাপ চা বানায়া দিব?
দে। আচ্ছা শোন, তুই ভূত বিশ্বাস করিস?
রফিক বলল, ভূত অবশ্যই বিশ্বাস করি। আমি তো বেকুব না যে ভূত বিশ্বাস করব না।
ভূত কখনো দেখেছিস?
আমার বাপজান দেখেছেন। আমরার বাড়ির সামনে একটা তেঁতুল গাছ ছিল। সেই তেঁতুল গাছে পেততুনি থাকত। হের স্বভাব চরিত্র ছিল জঘন্য।
কী করত?
মাইনষের গায়ে ছেপ দিয়া হি হি কইরা হাসত। কাপড়চোপরও ঠিকমতো পরত না। বাপজান অনেক দিন দেখেছে গাছে লেংটা বসা।
পরে তোর বাপজান কি করলেন?
তেঁতুল গাছ কাটায়া ফেললেন। পেততুনি বিদায়।
সানাউল্লাহ বললেন, গাছ কাটার সঙ্গে সঙ্গে চলে গেল?
রফিক বলল, সাথে সাথে যায় নাই। কিছুদিন বাড়ির আশেপাশে ঘুর ঘুর করছে। ঢিল মারছে। তারপর চইল্যা গেছে।
কোথায় গেছে জানিস না?
অন্য কোনো তেঁতুল গাছে গিয়া উঠছে। পেততুনি তেঁতুল গাছ ছাড়া থাকতে পারে না।
সানাউল্লাহ বললেন, ভূতের খাদ্য কী জানিস নাকি?
রফিক বলল, জানি। গজার মাছ পুড়ায়া দিলে আরাম কইরা খায়। কাচা মাছও খায়, তয় টাটকা হইতে হয়। বিলের আশেপাশে এরা মাছের সন্ধানে ঘুরে। স্যার ঘরে গিয়া বসেন চা বানায়া আনতেছি।
শোবার ঘরে ঢুকতেই হমডু বলল, ব্যাটারি খাব।
সানাউল্লাহ অবাক হয়ে দেখেন এরা ব্যাটারি দুটাই খেয়ে ফেলেছে। কার্বনটা পড়ে আছে।
তোরা ব্যাটারি খেয়েছিস?
হুঁ। খুব মজা।
বলিস কী। ভূত ব্যাটারি খায় এটা তো জানতাম না।
হমড়ুর পাশ থেকে চিকন গলায় ডমরু বলল, বাবা। ব্যাটারি খাব।
সানাউল্লাহ চমকে উঠে বললেন, এই মেয়ে আমাকে বাবা ডাকছে না-কি?
হমদু বলল, হুঁ।
সানাউল্লাহ বললেন, বাবা ডাকছে কেন?
হমড়ু বলল, জানি না।
সানাউল্লাহ বললেন, বাবা ডাকার দরকার নাই। স্যার ডাকলেই হবে।
ডমরু বলল, আমি বাবা ডাকব। বাবা ডাকব। বাবা ডাকব।
সানাউল্লাহ হতাশ গলায় বললেন, ঠিক আছে। বাবা ডাকতে চাইলে ডাক অসুবিধা কিছু নাই। ব্যাটারি খেতে চাস কাল কিনে আনব। ব্যাটারি খাওয়া ঠিক হচ্ছে কি-না তাও তো বুঝছি না।
রফিক চা নিয়ে এসেছে। হমডু ফুরুৎ করে খাটের নিচে ঢুকে গেছে। সানাউল্লাহ ঠিক করতে পারলেন না রফিকের সঙ্গে ভূতের বাচ্চা দুটার ব্যাপারে আলাপ করবেন কি না। এক বাড়িতে যেহেতু বাস আলাপ করাই উচিত। তবে তাড়াহুড়ার কিছু নাই। রফিক নিজ থেকে আবিষ্কার করুক সেটাই ভালো হবে।
জাবিনের টেলিফোন এসেছে। জাবিন আদুরে গলায় ডাকল— বাবা!
সানাউল্লাহ বিস্মিত গলায় বললেন, তোর বাবা ডাক আর ডমরুর বাবা ডাক একই রকম। তোদের দুজনের গলায় অদ্ভুত মিল।
জাবিন বলল, ডমরু কে?
সানাউল্লাহ আমতা আমতা করতে লাগলেন। জাবিন তীক্ষ্ণ গলায় বলল, তোমার ঐ ভূতের বাচ্চাটা না-কি?
সানাউল্লাহ বললেন, ঠাট্টা করছি রে মা। ঠাট্টা। মনটা ভালো তো এই জন্যেই ঠাত্রী তামাশা।
মন ভালো কেন?
রফিক চলে এসেছে। কাজকর্ম শুরু করেছে। আলু দিয়ে ইলিশ মাছের ঝোল রান্না করেছে। ইলিশ মাছ সে নিজেই কিনে এনেছে। মিডিয়াম সাইজ।
জাবিন কড়া গলায় বলল, চোরটা ফিরে এসেছে আর তুমি তাকে বহাল করেছ? আবার তো চুরি করবে। এক্ষুনি বিদায় কর। এই মুহূর্তে।
সানাউল্লাহ বললেন, অবশ্যই বিদায় করব। চোর পুষব না-কি? আমি চোর পোষার লোক না।
জাবিন বলল, আমি টেলিফোন ধরে আছি। তুমি ওকে ডাক। বিদায় কর। আমি যেন শুনতে পাই।
এখন তো মা ডাকা যাবে না। তাকে একটা বিশেষ কাজে পাঠিয়েছি। ব্যাটারি কিনতে পাঠিয়েছি। সানাউল্লাহ মিথ্যা বলতে পারেন না তবে মেয়ের সঙ্গে হড়বড় করে মিথ্যা বলছেন। তাঁর নিজেরই অবাক লাগছে।
ব্যাটারি কিনতে পাঠিয়েছ?
হুঁ। দুটা ব্যাটারি ছিল ওরা খেয়ে ফেলেছে।
কারা খেয়ে ফেলেছে। ঠিক করে বলো বাবা। ব্যাটারি কে খেয়েছে? তোমার ঐ ডমরু?
আরে না। ডমরুর কোনো অস্তিত্ব আছে না-কি যে ব্যাটারি খাবে।
তাহলে কে খেয়েছে?
আমিই খেয়েছি। টেস্ট করে দেখলাম।
তুমি ব্যাটারি খেয়েই মানে! তুমি কেন ব্যাটারি খাবে?
সানাউল্লাহ হতাশ গলায় বললেন, ঠাট্টা করছি রে মা। ঠাট্টা। প্লেন এন্ড সিম্পল ঠাট্টা। বিদেশে দীর্ঘদিন থেকে তুই ঠাট্টা তামাশা ভুলে গেছিস এটা দুঃখজনক।
জাবিন বলল, তুমি ঠাট্টা করছ এমন মনে হচ্ছে না। ব্যাটারি নিয়ে কিছু একটা অবশ্যই ঘটেছে। সেটা কী আমি জানতে চাই।
সানাউল্লাহ আয়োজন করে মিথ্যা বলা শুরু করলেন— হয়েছে কি মী। আমি একটা মাছের খেলনা কিনেছি। বোতাম টিপলে মাছটা লেজ নাড়তে নাড়তে আগায়। কোনো কিছুর সঙ্গে ধাক্কা খেলে আবার ফিরে আসে। পোঁ পোঁ শব্দ করে। ঐ খেলনার জন্যে ব্যাটারি কিনতে পাঠিয়েছি।
খেলনা কার জন্যে কিনেছ?
আমার জন্যে।
তুমি মাছের খেলনা দিয়ে খেলবে?
হুঁ মানে? তুমি মাছের খেলনা দিয়ে খেলো?
সানাউল্লাহ বললেন, সব সময় তো খেলি না। ঘুমুতে যাবার আগে কিছুক্ষণ খেলি।
জাবিন বলল, ঠিক আছে বাবা। পরে তোমার সঙ্গে এই বিষয়ে ডিটেল কথা হবে। ঘুমের ওষুধ খেয়ে তুমি ঘুমাও। সকালে হামিদ আঙ্কেল যেন তোমার সঙ্গে দেখা করে সেই ব্যবস্থা করছি।
সানাউল্লাহ বললেন, খামাখা উনাকে যন্ত্রণা দেবার আমি তো কোনো প্রয়োজন দেখি না।
তুমি প্রয়োজন দেখ না, আমি দেখি। সামথিং ইজ ভেরি রং উইথ ইউ।
অনেক দিন পর রাতে তিনি আরাম করে খাওয়াদাওয়া করে বিছানায় ঘুমুতে গেলেন। রফিক পায়ে লোসন ঘসে দিচ্ছে। আরামে তাঁর শরীর ঝিম ঝিম করছে। ঘুমিয়ে পড়লে আরামটা পাওয়া যাবে না বলে তিনি কষ্ট করে জেগে আছেন। তাঁর হাতে মধ্যরাতের হাসি নামের বই। কাহিনী অত্যন্ত জমাট। শহরতলির এক হোটেলে কুদ্দুস নামের একজন ক্যানভাসার রাত কাটাতে গেছে। সে যতবার বাতি নিভিয়ে ঘুমুতে যায় ততবার আপনাআপনি বাতি জ্বলে উঠে। বাথরুমের সিংকেও সমস্যা। আপনাআপনি পানি পড়ে। সে কল বন্ধ করে বিছানায় শোয়ামত্রি কল দিয়ে পানি পড়তে থাকে।
কুদ্দুস গেল হোটেলের রিসিপশনে বসা ম্যানেজারের কাছে কমপ্লেইন করতে। সেখানে আরেক কাণ্ড।
ম্যানেজারের জায়গায় অতি রূপবতী এক তরুণী বসে আছে। তরুণীর বয়স ষোল সতেরো। পরনের শাড়ির রঙ লাল। গা ভর্তি গহনা। তার গাত্রবর্ণ দুধে আলতায়। তরুণী কুদ্দুসকে দেখে বলল, স্যার কয়টা বাজে?
কুদ্দুস বলল, বারোটা বাজতে এক মিনিট বাকি।
তরুণী বলল, স্যার তাড়াতাড়ি ঘরে চলে যান। বারোটা বাজলে একটা ঘটনা ঘটবে। আপনি ভয় পেতে পারেন।
কুদ্দুস বলল, কী ঘটবে?
সানাউল্লাহ বই পড়া বন্ধ করলেন। তার ভয় ভয় লাগছে। বারোটা বাজরে ভয়ঙ্কর কিছু ঘটবে এটা বুঝা যাচ্ছে। অতিরিক্ত ভয় পেলে ঘুম চটে যেতে পারে। তারচেয়ে রফিকের সঙ্গে কিছুক্ষণ গল্প গুজব করা যেতে পারে। সে এখনো ক্ষমা চায় নি এটাও এক সমস্যা। তাকে দিয়ে ভুলিয়ে-ভালিয়ে ক্ষমা চাওয়ানো দরকার।
রফিক।
জি স্যার।
মানুষ ভুল করে। করে না?
অবশ্যই করে। তয় নিজের ইচ্ছায় করে না।
কার ইচ্ছায় করে?
শয়তানের ইচ্ছায় করে। মানুষের কোনো দোষ নাই। সব দোষ শয়তানের।
শয়তানের ঘাড়ে সব চাপিয়ে দিলে তো হবে না রফিক।
শয়তানের ঘাড়ে চাপাব না তো কার ঘাড়ে চাপাব?
সানাউল্লাহ হতাশ গলায় বললেন, আচ্ছা ঠিক আছে এই নিয়ে পরে আলাপ হবে। আরেকটা কথা বলে রাখি যদি কখনো দেখিস এই বাড়িতে দুটা ভূতের বাচ্চা ঘুরে বেড়াচ্ছে— ভয় পাবি না।
রফিক বলল, ভয় পাব কি জন্যে? আমার দেশের বাড়িতে যাইতে হয় গোরস্থানের কিনার দিয়া। গভীর রাত্রে বাড়ি যাইতাছি হঠাৎ তাকায় দেখি গোরস্থানের তালগাছ সমান উঁচা এক লোক। বুঝলাম জিন।
জিনটা কি করল?
কিছুই করল না। সে তার মতো গোরস্তানে হাঁটাহাটি করতে লাগল— আমি আস্তে বাড়ি চইলা আসলাম।
রফিক বলল, না।
ডরাইলেই ডর। না ডরাইলে কিসের ডর?