বৃষ্টি থামার শেষে, আকাশের শরীরে স্বপ্ন মাখিয়ে,
যেন কোন শিল্পী তাঁর তুলির টানে, নানান রঙের রঙ ঢেলে জলছবি এঁকে চলেছেন একমনে।
বৃষ্টি থামার শেষে,চরাচর জুড়ে, সোনালী আলোয় ধান গাছ গুলি মাথা দুলিয়ে আহ্বান জানাচ্ছে।
দোয়েল, ফিঙে, এ গাছ থেকে ও গাছে লাফিয়ে পড়ে শিস তুলে সুর ধরেছে আপনমনে।
বৃষ্টি থামার শেষে, যে গাছটি সারা অঙ্গে ধুলো মেখে মলিন বসনে এক কোণে দাঁড়িয়ে ছিল, সে এখন সিক্ত মাটির পরশে ঝলমল হাসিতে সবুজিয়া হয়ে উঠেছে!
বৃষ্টি থামার শেষে, যে শাখায় ফুল ফোটে নি কোনদিন, ফল ফলেনি কখনও, সেই শাখায় আজ নতুন কুঁড়ি দুলছে!
বৃষ্টি হবার শেষে,যে নদীর বুক ফেটে গিয়েছে শুকিয়ে, হারিয়ে ছিল তার চলার ছন্দ,যার বোবা কান্না কেউ শোনে নি কখনও। সেই বাঁকা নদী আজ জীবনের গান গেয়ে ঝিরিঝিরি বয়ে চলেছে।
বৃষ্টি থামার শেষে, যে চারা গাছটি উপেক্ষা পেয়ে, অনন্ত বিরহ চেয়েছিল। ভালোবেসে সে কার্পণ্য করতে শেখে নি কখনও। সেই চারা গাছটি আজ ডাল পালা মেলে কিশোরী হয়েছে!
বৃষ্টির সুরে,খিল খিল হাসিতে তার বুকে এক নাম না জানা কষ্টফুল ফুটেছে!
বৃষ্টি থামার শেষে, আকাশের বুকে রামধনু উঠেছে।
সেই দিকে তাকিয়ে সকলে কেমন উৎসুক চোখের পাপড়ি মেলেছে।
কিশোরী গাছটি,সেই ফুলের নাম রাখলো সাতরঙা ফুল।
বৃষ্টি ভেজা সুর তুলে সাতরঙা ফুল বলছে, ও সুজন আমার, আমি ডরাই না ,ভালোবাসায় ভিখারি বিরহে!