চপল চঞ্চলা দুর্বার গতির ক্ষণপ্রভা,
চোখের দ্যুতিতে খেলা করে বিদ্যুৎপ্রভা।
আর নেই সেই ভীত সন্ত্রস্ত অবলা লজ্জাবনতা,
ছিপছিপে তন্বীতে ভর করে হরিণীর ক্ষিপ্রতা।
সময়ের আবর্তনে ভেঙেছে যুগ যুগান্তরের কৃষ্ণবলয়,
কুসংস্কার ছুঁয়ে ফেলে সামলেছে মহাপ্রলয়।
রক্তচক্ষুর ঘেরাটোপে ঝলসে জন্মেছে লক্ষ অযুত সৌদামিনী,
আজকের রমনী দামিনী তরঙ্গিনী রণরঙ্গিনী।
জড়িয়েছে আষ্টেপৃষ্ঠে মমতায় বাৎসল্যের বাঁধনে,
স্নিগ্ধ শান্ত স্রোতহীন দৃপ্ত সংসারের অসাধ্যসাধনে।
মৃত্তিকার গভীরে প্রোথিত শিকড় প্রকৃতির অপরূপ ছন্দে,
নেই দ্বিধা নেই দ্বন্দ প্রেম ভালোবাসা অভিমানে আনন্দে।
জেনেছে অব্যক্ত মনের কথা চোখের ভাষা নিপুণভাবে,
নারী তুমি ত্রিনয়নী সর্বাণী বেঁধেছে জগৎ স্বীয় স্বভাবে।
অনন্ত আলোকে করে উদ্ভাসিত আঁধার যামিনী,
অন্যায়ের প্রতিবাদে তৎপর দনুজদলনী অগ্রগামিনী।