সমুদ্র মেখলা -3
বিশাখা বুঝি ঐ অনুভূতি টাই চাইছিল। বিশাখার কোন কথা বলার শক্তি হারিয়ে গেছে। দরজা খোলাই ছিল । সুছন্দার সাথে কোন কথা না বলে বাড়ি চলে এসেছে । বাড়ি গিয়েই সোজা বাথরুমে ঢুকে পড়ল। ঐ একটা জায়গাতেই বিশাখা পুরোপুরি নিরাপদ। মায়ের চোখে পড়লে ধরা পড়ে যাবার ভয় । এখানে সে ভয় নেই । আয়নায় নিজের মুখ খানা দেখল । নীচের ঠোঁট টা ফুলে লাল হয়ে আছে। মনে ভাবল, “দস্যু কোথাকার “। সেই অনুভূতির কথা এখন ও ভুলতে পারছে না । রাজার স্পর্শের অনুভূতি ভোলার জন্য গায়ে জল ঢেলে নিল। স্নান করে অনেকটা ভাল লাগছে ।
এরপর থেকে রাজার ধারে কাছে ঘেষতো না বিশাখা। বাবা মায়ের ইচ্ছে টা আপাততঃ তাকে তোলা রইল। কারণ মেয়ে ঐ ব্যাপারে একেবারেই আমল দেয় না । মা কায়দা করে রাজার বাবার ইচ্ছে টাও শোনাতে ছাড়ে না । ভাবে-এইভাবেই বুঝি মেয়ের মন গলবে। তা ছাড়া মেয়ে রাজী না হলে ভাল পাত্র টা হাত ছাড়া হয়েও যেতে পারে ।
যে পড়াশোনার অজুহাত টা বিশাখা এতোদিন দিয়ে আসছিল তাও শেষ হল । ইংরেজী তে অনার্স নিয়ে সুছন্দা আর বিশাখা দুজনেই ফার্স্ট ক্লাস পেয়ে পাস করল ।
যাক ভাঙা টাই শেষ কথা নয় । একদিক গড়়ে আর এক দিক ভাঙে । যাকে এত এড়িয়ে চলতে চেয়েছে বিশাখা, সেই ই মৃত্যুর মুখ থেকে তুলে এনেছে বিশাখা কে ! রাজা না থাকলে বিশাখা এতক্ষণে কোথায় তলিয়ে যেত।
দরজায় টোকা পড়তে, চমক ফিরল বিশাখার। না পুরোনো কথা আর ভাববে না । তাড়াতাড়ি মেরুন রঙের দামী জেল্লা ধরা সিল্ক শাড়ির সঙ্গে ম্যাচিং ব্লাউজটা পড়ে নিল। চুলটা ড্রায়ার দিয়ে ভাল করে শুকিয়ে নিয়ে আঁচড়ে নিল। শাড়ি টা নিয়েই যত গোল। পিন করার উপায় নেই। হাতে পিন নেই যে কাঁধে লাগাবে। দরোজায় টোকা পড়তে বিশাখা দরজা খুলে দিল। সামনে রাজার চিন্তিত মুখ বলে দিচ্ছে যে রাজা বিশাখার জন্য রাজা চিন্তিত। বিশাখা কে দাঁড়ানো দেখে রাজা বলল। – যা বাব্বা। আমাকে তো ভয় পাইয়ে দিয়েছিলে।
বিশাখার দিকে রাজার মুগ্ধ দৃষ্টি কিন্তু গম্ভীর। রাজার দুধ সাদা সিল্কের পাঞ্জাবী ও পাজামা । বার বার ই নজর সেই চোখের দিকে। বিছানায় একখানা পাট ভাঙা চাদর বিছানো। হঠাৎই দরজায় বেল বেজে উঠতেই বিশাখা দরজার দিকে ছুটে যেতে চায় কিন্তু তার আগেই রাজা এক টানেই বিশাখাকে ভেতরের ঘরে নিয়ে এলো । তারপর এক ঝটকায় বিছানায় ফেলে দিল বিশাখাকে । রাজার ঝটকায় বিশাখার শাড়ির আঁচল লুটিয়ে পড়ল মেঝেতে । রাজার ঘোর লাগা দৃষ্টি বিশাখার শরীরে । আবার বেল বেজে উঠল । বিশাখার গালে লালের আভাস, রাজার দৃষ্টি অনুসরণ করে বিশাখার সরম রাঙা মুখ । বিশাখা শাড়ির আঁচল খুঁজতে ব্যস্ত । আবার ও বেল বাজতে,রাজা পাশের ঘরে চলে গেল ।
জানালার কাছে দাঁড়াল বিশাখা । চোখ চলে গেল দূরে যেখানে অনন্ত সাগর দেখা যাচ্ছে । এ জায়গার নাম ঋষি কোন্ডা , মানে ঋষি পাহাড় । পুরো পাহাড়ের কোল ঘেষে সমুদ্র এঁকে বেঁকে গেছে । সমুদ্রের ধার দিয়ে বিশাখাপত্তনম আরবান ডেভেলপমেন্ট অথরিটি সুন্দর বড় বড় লাইট দিয়ে সী-বিচ কে সাজিয়ে রেখেছে । তাই এত দূর থেকেও সাদা ফেননীভ ঢেউ দেখা যাচ্ছে । অপূর্ব সুন্দর এই শহর বিশাখাপত্তনম । এই সুন্দর শহরের নামেই বিশাখার বাবা রণদীপ দে মেয়ের নাম রেখেছেন বিশাখা । বিশাখা সত্যিই সুন্দরী ।
ছোট বেলা সমুদ্রের ধারে রাশি রাশি বালু দিয়ে খেলাঘর গড়ে তুলত । ঢেউ এসে ভেঙ্গে দিত ওর সুবিন্যস্ত খেলা ঘর । মায়ের কোলে ঝাঁপিয়ে পড়ে কাঁদত, নালিশ জানাত সমুদ্রের বিরুদ্ধে । মা বলতেন, প্রকৃতির নিয়মের কথা । একদিকে ভাঙ্গে আর এক দিক গড়ে । মা দেখিয়ে দিতেন দুরের ছোট দের ঘর গুলো। বলতেন- ঐ দ্যাখ ওদের ঘর এখন আছে। তুমি আবার বানাও দেখবে তোমার টা থাকবে আর ওদের ঘর ভেসে যাবে ।
এরপর বিশাখা আর ঘর ভাঙা নিয়ে কষ্ট পায় নি। একটা খেলায় পরিনত হয়েছিল ঐ ভাঙা আর মনের মাধুরী মিশিয়ে ঘর গড়া । এই খেলার মধ্য দিয়েই বিশাখার মন সুদৃঢ় হয়েছে । ভাঙাটা শেষ কথা নয় তা জেনেছে বিশাখা । নতুন করে গড়ে তোলার মানসিকতার সৃষ্টি হয়েছে । মায়ের কথা যে সত্যি , সেটা পরখ করে দেখেছিল তাই ভাঙা গড়ার মধ্যে ওর চারিত্রিক দৃঢ়তার বুনট গাঢ় হয়েছিল ।
সমুদ্রের কোল ঘেষে পাহাড়ের সবুজের সারি । এ সবুজ বনানীর সবুজ নয় । পাহাড়ের তরঙ্গের সবুজ। সাগরের মাঝে মাঝেই মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে ছোট বড় শিলার ধারাল খাঁজ কাটা চুঁড়ো । উপর থেকে দেখতে ছোট হলেও ওগুলোর গভীরতা সমুদ্র তলদেশে প্রায় চারশত ফুট । সে জন্য লাইট হাউজ থেকে সমুদ্রে জাহাজের গতিপথ নির্ধারণের জন্য আলো ফেলা হয়। দূরের চলমান জাহাজ গুলোকে মনে জড়োয়ার গহনা! জাহাজ স্ট্রাইকের সময় আর ও অপূর্ব দৃশ্য। সন্ধ্যা বেলা সারে সারে দাঁড়ান জাহাজের নানা রং-এর আলো গুলো যেন হীরে পান্না চুনীতে গাঁথা টায়রা, আর সমুদ্র যেন সিঁথি!
সূর্যাস্তের লাল রং সমুদ্রের রং কে লাল করে দিত। আছড়ে পড়ত ঢেউ শিলা পড়ে, বলতো- “আমাদের পথ ছাড়, খেলা করতে দাও”। চূড়ো গুলোয় আছড়ে পড়া জল যেন হীরক বিন্দুর মতো ঠিকরে পড়ত ।
বিশাখার ছোট্ট বেলার সাথী তনয়ের সাথে খোলামেলা বন্ধুত্ব রাজা কোন দিন ভাল চোখে দেখত না । সেটা রাজার চেহারা ছবিই বলে দিত । বড় লোকের ছেলে রাজা। বাবা নারায়ণ দত্তের ‘কারগো’ র ব্যবসা । একেবারেই সাদামাটা মানুষ। এক ছেলে, এক মেয়ে । মেয়ে সুছন্দা বিশাখার সাথে টিম্পনী স্কুলে পড়তো তারপর ও একসাথেই মহারানী কলেজে পড়েছে ।
চিন্না ওয়ালটেয়র-এ ওদের বাড়িটা ওলন্দাজদের আমলের। ওদের পূর্ব পুরুষরা পেয়েছিলেন। সামনে ঘাসের গালিচা। এক পাশে তিন খানা গাড়ি রাখার গ্যারাজ । একেবারেই পুরোন ঢং এর ছোট ছোট ইঁটের তৈরি । সামনে আর্চ করা বারান্দা। পেছনেই নীল সমুদ্র সৈকত । সেখানেই গোল বাঁধানো বসার ব্যবস্থা । মাথার ওপর গোল সিমেন্টের ছাতা । যাতে রোদ্দুর বৃষ্টি না লাগিয়ে সমুদ্র কে উপভোগ করা যায় । দোতলা আরও সুন্দর । বাড়ির পাশেই দু’দুটো ফাইভ স্টার হোটেল। হোটেল পার্ক আর পাম বিচ হোটেল । সেখানে সমুদ্র থেকে জল চ্যানেল করে নিয়ে সুইমিং পুল করা হয়েছে ।
ঋষি কোন্ডার বিচ আরও সুন্দর । কেননা এখানে সমুদ্রের উচ্ছ্বসিত জলরাশি পাহাড়ে ধাক্কা খেয়ে ফিরে আসছে অসীম সাগরে । আবার ফিরে আসছে তট রেখায় । বালু কনায় অগনিত ফসফরাস জ্বল জ্বল করছে । হঠাৎই সম্বিত ফেরে বিশাখার । রাজা তো অনেকক্ষণ গেছে বাইরের ঘরে । অসময়ে কে এল ? রাজার শক্তির কাছে বিশাখা হার খেয়ে যাচ্ছে । কেন নিয়ে এলো এখানে? তবে কিছু কথা কানে এলো । কিন্তু রাজা যে ভাবে বিশাখা কে এ ঘরে রেখে গেল তাতে বিশাখার ওঘরে যাওয়ার সাহস নেই । মায়ের কথা আর বাবার কথা মনে হল । বাবা-মা ও খুব চিন্তায় আছেন । এখন ই রাজাকে বাড়ি যাওয়ার কথা বলবে। তখনই রাজা এঘরে এলো । দৃষ্টি খুব ই কঠোর । যেন বিশাখা কিছু বললেই ঝাঁপিয়ে পড়বে বিশাখার উপরে । বিশাখাকে কথা বলতে না দিয়ে পাশের ঘরে নিয়ে গেল । স্তম্ভিত বিশাখা ! গলার স্বর ও বুঝি বন্ধ হয়ে গেল । এ যেন ছোট খাট একটা বিবাহের আসর । শক্ত হাতে বিশাখার হাত ধরে আছে রাজা । যেন পালিয়ে না যায় ! পুরোহিতের মন্ত্র পাঠ, মালা বদল সিঁদূর দানের পাল শেষ হতে ম্যারেজ রেজিস্টার ওদের দুজনের সই নিলেন । সাক্ষী হল রাজার দুই বন্ধু । বিশাখা কিছু বলতে গেলেই ঐ হাতের চাপ বিশাখার শরীরের ওপর নির্দয় ভাবে বেড়ে গেছে । এই জোর করে বিয়ে করার জন্য বিশাখা কোনদিন ক্ষমা করতে পারবে না । মনে রাগ থাকলে ও রাজাকে বুঝতে দেয় না । সবাই চলে গেলে রাজা বিশাখাকে বিছানায় আলতো করে বসালো । বিছানায় ফুলে ফুলে ছেয়ে আছে। হয়তো বা রাজার কোন বন্ধুর কাজ এটা । বিশাখার অমতে এ ভাবে বিয়ে কে বিশাখা মানবে না । আর রাগটা র প্রকাশ হয়ে পড়ে বিশাখার হাবে ভাবে।
রাজা বিশাখার হাত দুটো ধরে বলে । – তোমার জেদ এর জন্য ই এমন ভাবেই বিয়ে করতে হল । আর কাল যা ঘটতে যাচ্ছিল তারপর আর তোমাকে একা ছেড়ে দেওয়া যায় না । তাই তোমার অমতেই এই বিয়ে সারতে হল। কথাটা শেষ হতেই রাজা এ ঘর থেকে চলে গেল। বিশাখা উঠে আয়নার সামনে দাঁড়াল। নিজের প্রতিবিম্ব বলে দিল রাজার হাতের ঐ পজেসিভ ছোঁওয়ার কারণ টা । অপরূপা লাগছে বিশাখাকে। মুগ্ধ বিস্ময়ে নিজেকেই নিজে দেখছে বিশাখা । ঐ সিঁথীর সিঁদূর আর শাঁখায়। কপালের সিঁদূরের ফোঁটা থেকে পুরো সিঁথীটা সিঁদূরে রাঙিয়ে দিয়েছে রাজা । কি মনে করে যে আজ ঝালোর দেওয়া পাথর সেটিং হার আর কানের দুলটা পড়েছিল তা জানে না । মা একটু আশ্চর্য হয়েই তাকিয়ে ছিলেন মেয়ের সাজের বহরে । কারণ মায়ের শখে গহনা বানানো হলেও মেয়ে একেবারেই সাজা পছন্দ করেনা । বিশাখার মতে ও সব পড়া মানে ‘অ্যাট্রাকশন ড্র ‘ করা । তাই মায়ের আশ্চর্যান্বিত মুখের দিকে চেয়ে মিষ্টি করে হেসেছিল বিশাখা । মা ও হেসে মেয়েকে জড়িয়ে ধরে ছিলেন ।
হয়তো বা যার জন্য মনের অজান্তেই সেজেছিল তাকেই খুঁজেছিল ভাসানের সময় । তনয় সমুদ্রের গভীরে নিয়ে যাওয়ার আগ অবধি তাকেই খুঁজেছিল বিশাখা । আয়নায় গহনার বাহার দেখে মায়ের চোখের প্রশংসা না করে পারে না । হায়দ্রাবাদি পাথর যেন চমক ফেলছে ওর গলায়, গালে। দৃষ্টি নাকে পড়তেই দেখলো ঝুড়ো সিঁদূর নাকে ছড়িয়ে পড়েছে। বড়োদের মুখে শোনা, নাকে সিঁদূর পড়লে না কি স্বামী সোহাগিনী হয় । কে ওর স্বামী ? ভাবতেই জেদ টা চেপে ধরল ওকে । না হয় রাজা বিশাখাকে মৃত্যুর মুখ থেকেই বাঁচিয়েছে । তাই বলে না বলে এ ভাবে বিশাখাকে জব্দ করবে? হেরে গিয়েই চোখে জল এসে গেল। বিছানায় শুয়ে কাঁদতে কাঁদতে ক্লান্ত শরীরে ঘুমিয়ে পড়েছিল । জেগে গেল ওর জীবন দাতার হাতের ছোঁওয়ায় । ওর আদরের নানান ভাষায় ,নানা ভঙ্গির আকুলতায় বিশাখা শিহরিত, উত্তেজিত হয়েও নিজেকে নিথর করে রাখে । এই ভাবেই রাজার অন্যায়ের প্রতিবাদ করবে বিশাখা । বিশাখার শরীরে উত্তাপ ফিরিয়ে আনার জন্য উন্মাদ রাজা বিশাখার শরীরে তন্ন তন্ন খুঁজে ফেরে সেই উত্তপ ফেরানোর চাবিকাঠিটা । বিশাখার শরীরে ওর জীবনের প্রথম ও শেষ পুরুষের প্রেমে রক্ত উত্তাল হলেও ও নিজেকে দমন করার চেষ্টা করে । বিশাখা যতই নিস্তেজতার অভিনয় করছে রাজা ততোই ওকে শায়েস্তা করার চেষ্টায় মত্ত। বিশাখা আবার ও ঐ হাতের চরম টানের শক্তিটা অনুভব করল। রাজা অনেক দিনের অনেক দিনের অনেক যন্ত্রণার অবসান ঘটিয়ে বিশাখা কে দখল করল ।
সকালে জেগে নিজের বেশ বাস আগোছালো দেখে মনে পড়ল আগের রাতের রাজার আকুতি বিকুলির কথা মনে পড়ল । বিছানা থেকে উঠেই আয়নায় নিজেকে দেখল । কপালের সিঁদূর লেপটে রয়েছে গালে, গলায় ও বুকে সিঁদূরে হোলী খেলা হয়েছে। যে বীর পুরুষ হোলী খেলেছে তার সিঁদূর ভরা মুখ খানা মনে করে হাসি পেল বিশাখার। নিস্তব্ধ বাড়ি। বোঝা গেল সে বেড়িয়েছে । পাঞ্জাবী টা পড়ে আছে বিছানায় । সেটাও ছোপ ছোপ ছোপ সিঁদূরের রঙে মহিমান্বিত । এই মহিমান্বিত হবার ইচ্ছাটা রাজা বহুদিন ধরেই পোষণ করে এসেছে । জোর করে হলে ও রাতের আঁধারে মহিমান্বিত হয়েছে শীতল স্ত্রীকে করায়ত্ব করে । শীতল কথাটা অবশ্যই মিথ্যাচার হবেনা, কারণ বিশাখার দেহটা সাড়া দিলেও মনটা তাতে সায় দেয় নি । আয়না থেকে সরে দাঁড়াল বিশাখা । বিশাখা স্নান সেরে নিল। ভাল করে শ্যম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলল সিঁদূরের দাগ । বেড সাইড কাপবোর্ড-এর উপরে কিছু শাড়ি জামা কাপর রাখা আছে। হয়তো বিশাখার জন্য ই আনা হয়েছিল। শাড়ি গুলো চমক দার। তার থেকেই অপেক্ষাকৃত কম জমকালো শাড়ি বেছে নিল। মুখে একটু ক্রীম মেখে, সিঁদূরের কৌটোয় হাত দিতে গিয়ে ও দিল না । মনে ভাবল আজ ওকে জব্দ করবো । ডাইনিং রুম এ টেবলে দেখল হটপটের নিচে একটা কাগজ। তাতে লেখা।
আমার বিশাখা,হটপটে খাবার আছে । ফ্লাক্সে চা আছে । খেয়ে নিয় । তোমার ই রাজা ।