তুলোপুকুর, ডুবন্ত এক মাথা
শরীর যেন অন্তিমে হয় শিথিল
ঘুমের নীচে স্বপ্ন লেখার খাতা –
বালিশঘেরা গ্রামের পরিচিতি।
অনেক হল এই ভ্রমণের ঘড়ি
সময়মতো না থামলে সব বৃথা।
দৃষ্টি টানে দু’চোখে চকখড়ি
নইলে তো মন আরওই দূরে দিতাম।
এখন নিকট, গাছের মতো প্রিয়
বাতাসে তার আত্মীয়রা থাকেন
ক্লান্ত হলে যত্নে রেখে দিও
আমায়, কোনও ভাঙা পথের বাঁকে।
শরীর যেন শুইয়ে রাখে গানও।
সফেদ চাদর, পাটভাঙা সন্তাপে
আকাশপথে শুশ্রূষাকে আনো।
বিরহপ্রেস হাতের পাতা ছাপে…
জল ঝরে, জল জন্ম পেরোয় ঝোরা
যুগ পেরিয়ে চোখ বুজি, চোখ খুলি…
ভাগ করে নেয় পিশাচ ও সন্তরা
রুটির মতো, আমার লেখাগুলি।
স্বপ্নেরা হোক শীতল ও ভারবহ
মন পেরিয়ে যায় না কোনও নেশাই
শরীর যাতে সমাধি পায় সহজ –
স্নানের জলে ঘুমের ওষুধ মেশাই।