নমস্কার; আমি সমাজবিরোধী বলছি
সমাজবিরোধী কথা শুনে ভাবছেন কেন এ কথা বলছি?
শুনে নিন তাহলে; উত্তর বলছি
সমাজ যে পথে চলে
আমি সে পথে আমি সে পথে চলি না;
সমাজ যে কথা বলে
আমি সে কথা বলতে পারিনা;
আমি যে সমাজের উল্টো পথে চলছি
হ্যাঁ; হ্যাঁ; হ্যাঁ; হ্যাঁ, আমি সমাজবিরোধী বলছি।
ওহে নেতা……..; মহা নেতাগণ………..
ওহে দেশ দরদি……………………
ওহে দালাল চক্র…………………..
ওহে বেইমান প্রশাসন……………………
আজকের সমাজের উল্টো পথে আমি চলছি,
আমি সমাজবিরোধী বলছি।
স্বাধীন দেশে যখন পরাধীন হয়ে থাকে সাধারণ মানুষ
দেশ পূজারীর ভূমিকায় থাকা মানুষেরা যখন হয়ে ওঠে অমানুষ
যখন প্রকাশ্য আদালতের—————
সম্মুখে জনাদেশ বেচে দেয় মহারাজের দল
যখন সভ্য নাগরিকের—————-
সভ্য প্রাপ্তি টুকু কেড়ে নেয় কেউ
যখন আমাদের———————–
শিক্ষা; স্বাস্থ্য; চিকিৎসা ব্যবস্থা লুণ্ঠন হয়ে যায়,
যখন বিক্রি হয়ে যায়——————-
আমাদের নাগরিক অধিকার
বিক্রি হয়ে যায়———————-
আমাদের স্বাধীন সার্বভৌম স্বাধীকার
আমি তখন বিপরীত মেরুর————
শেষ নিশানায় দাঁড়িয়ে সাম্যের গান বুনছি।
মিশে যেতে পারিনি এই স্বার্থরাজ স্রোতের অনুকূলে
তাই অদম্য প্রয়াস বুকে লয়ে—-
স্রোতের প্রতিকূলে দাঁড় বাইছি;
সমাজ যন্ত্রণায় এক বুক জ্বালা লয়ে——
নাগরিক বেদনায় আমি ভুগছি;
অবাক হয়ে বলো না কখনো একি আমি শুনছি?
আমি সমাজবিরোধী বলছি।।
আমি আজিকার কবি নয়;
আমি আজিকার নেতা নয়;
আমি আজ উপমহাদেশের কোন সৈনিক নয়,
আমি ব্যক্তিস্বার্থে লালায়িত হয়ে——-
দলত্যাগ করা কোন মুখোশধারী নেতা নয়,
আমি ,পলকা ঝরে——————
খসে যাওয়ার মত কোন গাছের পাতা নই,
এই অন্ধসমাজে———————-
ভন্ড অন্ধদের ভন্ডামি মেনে নেওয়ার পাত্র আমি নই।
উন্মাদের উদ্ভাস হয় রচনা দিবা নিশি
সুশীল সমাজ ভেঙ্গে চুরমার
সমাজ সুশীল আজ হয়েছে মলিন
একত্রিত জননেতা স্বার্থের বোঝা ঘাড়ে ছুটছে তো ছুটছেই
সম্মুখে দাঁড়ায়ে প্রকাশ্য সমাবেশ
সাজো সাজো রব বেশ
ঘনীভূত হয় একাধিক ধ্বনি
হে…………. বঙ্গবাসী………………!
হে…………..ভারতবাসী…………….!
এমন সময় আমার কন্ঠে আত্মচিৎকার
আকাশ বাতাস করে তোলে তোলপাড়।
বলে ওঠে স্বকন্ঠ আমার;
“সব ভন্ড; তোমরা সবাই অন্ধ”
বহুকাল ধরে তোমাদের এই মিথ্যে গান শুনছি।
আমি পারলাম না তোমাদের পথে চলতে
বিবেকের তাড়নায় দেয়ালে পিঠ ঠেকে যায়
বাধ্য হয়েই আমি অন্য পথে চলছি,
হে ………ভারতবাসী…….
যদি পারো কান পেতে শোনো,
এই সমাজের আমি এক সমাজ বিরোধী বলছি।