ঢাংকুড়াকুড় ঢাংকুড়া কুড়শরৎ এসেছে, ভাসছে আগমনীর সুরআকাশে বাতাসে লাগলো দোলাশরৎ

কত ঝরেছে রক্তপাত,শত শত বীরের হয়েছে বলিদান কেড়ে নিয়েছে শত

আমি পথ ভোলা পথিক শ‍্যামরায়বাঁশি বাজিয়ে চলেছি ঐ নীল যমুনায়

সকাল থেকে গোমড়া কালো মুখতুমি আসবে বলে যায় নি কোথাওঅপেক্ষার

খাঁচার ভেতরে অচিন পাখি ফুড়্ড়ুত হইয়া যায়ঐ নীল আসমানটোতে ডান্না

পূর্বে মাইলের পর মাইল হেঁটে বিদ‍্যার্থী্রা গুরুকুল যেতগাছের ফলমূল খেয়ে

দুর্গা মা দূর থেকে জানাই তোমায়,প্রণাম ঠাকুরদেখলে তাড়াবে আমাকে,যেন আমি

তুই যে আমার আধফালি চাঁদ ঝিলিক দেওয়া হাসিতোর প্রেমেরই স্বপ্নে

মনের ভিতর ঘূর্ণিঝড়, আশা নিয়ে বাঁচি,কাটবে কি সারা মহীর কালো

নিষিদ্ধ পল্লীতে লালজামা পরা ছোটমেয়েটিহাত নাড়তে নাড়তে বলেছিল সোনা কাকুআবার

নর্তকী ,কাপালিক ,ধোপানি ,নাপিতানি , বলেআমার ঢাকের তালে মন দোলে।ব্রাহ্মণী

এবারে পুজোটা কিন্তু হল না মনের মতোআগামী সনে পুষিয়ে নেব

শ্রমিক কৃষাণ মুটে মজুর রোদে ঝরায় ঘামতাদের ঘামের বিনিময়ে পাচ্ছে

শরতে নয় হেমন্তে হিমের পরশ যে পড়ে ভোরে শবনম ঘাসের

মানুষ আসে নিয়ম মেনে বসুমাতার মেলায়নাটেরখেলা চলতে থাকে সুখ-দুঃখের ভেলায়বসুন্ধরায়

ভুল পথে তুই কলঙ্কিনী হলি।আশ্রয় হলো বড় রাস্তার গলি। কেন

মেঘবালিকা,চিঠি কই গো?আসবে কবে তুমি!ভূমি দেখি ফুটিফাটাআকাশ পানে চুমি।মাঝে মধ্যে

প্রেম জোয়ারে পানসি ভাসাওজীবন নদীর অথৈ জলে,সাত টি পাকে বাঁধা

জীবন চলে দাবার চালেবাঁধাধরা খেলা,আড়াই চালে ঘোড়া চলেবোড়ে দিচ্ছে ঠেলা।সোজাসুজি

অন লাইনে ভালোবাসা!জিনিসপত্রের প্রতি,শপিং করার সময় কোথায়হয়েছে এই গতি।সময় বাঁচে

রথের রশি,ধরে টান-আঁকুপাঁকু করে প্রাণ।বৃষ্টির মধ্যে চলে যানবাবা এসে ধরে

নয়ন তারায় নয়নতারাতুই যে চোখের মণিতোকে নিয়ে কত স্বপ্নআমার স্বর্ণ

আষাঢ় মাসের পূর্ণিমাতেপৃর্ণ শশী হাসেগুরু পূর্ণিমার পুজোতে আজমন্ডা মিঠাই আসে।

দুঃখের নিষ্ঠুর কাঁটা বিদ্ধ করেআঁধার মহী কাঁদে!আলোর সন্ধান পাবোই আমরা

একে অন্যের পাশে থেকে –ভাইবোনেতে বাঁচিছোট্ট থেকে অনাথ আমরাদেখে মোদের

নাটের গুরু মা ও ঠাকুমার একে অপরের প্রতি উচ্চারিত শব্দ

ঘুমাও মেয়ে …তুমি ঘুমাও মায়ের কোলে,পরম শান্তিতে ঘুমাও!আজকাল আট মাস

পাঠশালাতে গুরুমশায়বকম বকম করেউচ্চারিত শব্দ গুলোশ্লোক বাক্যেতে ঝরে। কিছুই হয়

প্রেমের পাহাড়ে বসে সোনালী তুমি প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলে–আমার কর্ণকুহর বিদির্ণ করে

সেই ঝুল বারান্দা, সেই হেলান দেওয়া চেয়ার সব আছে!কিন্তু সেই

সকাল বেলায় রবি মামাফিসফিসিয়ে কয়,ওঠো পড়ো ভাগ্নে আমারকরো বিশ্ব জয়।

আজ একটা বাড়ির কথা খুব মনে পড়ছে–আস্ত বাড়িটা ছিলো একটা

বুড়ো বুড়ি ভূত দোল খাচ্ছেছাতিম গাছের ডালেআগের জন্মে লাইলা মজনুমরে

বেশ কয়েকবার কলিং বেল বাজার পরআমি আচমকা দরজা খুললামতুই অবাক

মাঘের শেষে ফাগুন এলোমৃদু মন্দ হাওয়াকোকিল ছানার কুহুতানেআনন্দতে খাওয়া।গাছে গাছে

উড়ো চিঠি হলুদ খামে,চিঠি ছিল দাদুর নামে। দাদু তখন অমরধামেচিঠি

গোটা জীবনে চলে রোদ ছায়ার লুকোচুরিহাসি-কান্না,আলো -আঁধারে জীবন জুড়ি সুখ

পুজোর দিনে দাদা চীনেচাকরি করতে গেলোআমি ভাবি কোথায় খাবিসবাই কষ্ট

খোকা খুকু আয়রে সবাইগল্প করি আমিতোদের কটা প্রশ্ন করিউত্তর দিলে

আজকাল মনের খাতায় লিখতে প্রেরণা পাই না–বিষাক্ত মনে রঙের তুলি