গভীর রাতের নিস্তব্ধতার ও কিছু চুপকথা আছে,
নীরবতা কখনোই একদম নিশ্চুপ নয়,তার ও বুকে ভাষা আছে,
ঠিক আমার মতন।
আমিও আপন সত্তার গভীরে নিয়ত অবগাহন করি,কখনো দুঃখ,কষ্ট,ব্যথায় টুকরো হতে হতেও আশ্চর্য দক্ষতায় ঝেড়ে ফেলি,
সুখের দু’ এক পশলা মাতাল অনুভূতিকে খুঁজে নিতে আপ্রাণ প্রয়াসে নিমজ্জিত থাকি,মদির হয়ে থাকি।
রাতের আকাশে চাঁদ তারার আলোর বন্যা,
বিতানের মাঝে হরেক ফুলের সুবাসে ম-ম করে,
সব ব্যথাভার,বিষন্নতার ছায়া পলকে উধাও,
আমি নিঝুম রাতের অসামান্য সৌন্দর্য চেয়ে চেয়ে দেখি।
প্রকৃতির চোখে ঘুম নেই ঠিক আমার মতন।
কত কত না বলা কথারা তখন ব্যাঙ্ময় হয়ে উঠে ,
প্রকৃতির বুকে, চাঁদ তারার বুকে,আমার বুকে।
মনের গহিন কন্দরে গিরিগুহায় ভাঁজে ভাঁজে,
বুকের দেয়ালে খাঁজে খাঁজে শুধুই অব্যক্ত কথারা হেঁটে বেড়ায় মুখে কুলুপ এঁটে।
কিন্তু প্রতিটি কথার ভাবার্থ সত্তার গভীরে অনুরণিত হয়ে
আমাকে বিবশ বিহ্বল করে তুলে।
দিনের আলোয় একাকিত্বের তেমন আঁচ পাওয়া যায় না,
রাতের আঁধারেই নিঃশব্দে চলাফেরা টের পাই।
অনুভূতির দিগন্ত ছুঁয়ে গভীরে যেখানে নিপাট সাজিয়ে রাখা স্তরে সূত্রে বিন্যস্ত শব্দের সংসার,
ভালোবাসার কার্পেটে নকশা আঁকে,
নিবিড় মমতায় হীরে চুনি পান্না শব্দের সমাহারে আমি বুঁদ হয়ে রই,
সত্তার গভীরতা ছুঁয়ে এক নতুনতরো আমিকে আবিষ্কার করে-