শ্রাবণ এলেই বৃষ্টির শব্দে
আমার মনেতে জলতরঙ্গ বাজে।
উচাটন জাগে, ভাবি সব বলবো তোমায়, তবুও কিছুই বলা হয় না!
শ্রাবণ এলেই আমি নদী হই,
বইতে থাকি অন্তঃসলীলা হয়ে তোমার ভিতরে বাহিরে।
ধান-ক্ষেত, জমি-জমা, মাঠ-ঘাট সব ভিজিয়ে, সবুজের মতোই অবুঝ হয়ে উঠি!
তবুও তোমায় বুঝতে দিই না কিছুই !
শ্রাবণ এলেই আমার নীল আকাশ জুড়ে মেঘ- রোদ্দুর লুকোচুরি খেলা।
মেঘ পিয়ানোর খামে না দেওয়া অভিমানী চিঠি তোমার নামে পাঠিয়ে দিই সোহাগ ভরে!
তবু সেখানে লেখা থাকে না কোন প্রেরকের নাম!
যখন মন খারাপ পড়বে ঝড়ে বৃষ্টি হয়ে চিলেকোঠা ঘরে!
তখন কি তোমার পড়বে মনে, দুদিকে বিনুনি ঝোলানো মেঘ বালিকার ভিজে গল্পে!