দেখতে পাও না কী ঈশ্বর কাঁদছে?
একদিকে অমরত্বের কাঠামোয়
মাতৃ প্রলেপ
অন্যদিকে মৃত্যুর আঁতুড়ঘরে
কন্যা পরিত্যাজ্য,
…… কেন করো?
আঁধারে পিছলে সরে
আশ্বিনের শিউলির স্তুপ
যে জীবন, করেনি যাপন
উন্মাদনায় মেতে ওঠে
জীবন্ত প্রাণের বিসর্জনে,
……..কোন্ কারণে!!
বুঝতে পারছো না তো?
আরে বাপু, সহজ করে বলবো ভেবেছিলাম,
তোমরাই অষ্টপ্রহর ওৎ পেতে আছো
ভয়ে ও ভাবনায়–
স্বৈরাচারী আবরণে মুড়েছো আমার কাশবন,
সাধ্য কী, আমায় থামায়?
দীর্ঘকালের অপেক্ষা….
আমাকে সম্পূর্ণ করবে বলে
কতোকাল গেছে কেটে,
ফিরিয়ে দিয়েছো বারে বারে–
চণ্ডালের নখের আঁচড়ে তছনছ
রক্তাক্ত পরাগ শুদ্ধ গর্ভকেশর।।
মনে বুঝি খুব ভয় হয়?
ভয় হয় প্রাণ প্রতিষ্টা করতে?
তোমাদের গেরস্থালির উৎসবে
ভাবছো বুঝি…
হাত পেতে দাঁড়াবো মুখ নীচু করে ভিক্ষুকের বেশে?
কিন্তু তা কী করে হয়?
সুতরাং–
ঘরে বুঝি আমার হলো না ঠাঁই…
তাই কী লক্ষ্মীর ঝাঁপি রাখছো ধরে
মাটির প্রতিমা গড়ে!!
আমি নই জাত–গোত্রহীনা শোকের কালি…
শূন্যের শ্মশানে নয় আমার ঠাঁই,
জ্বলন্ত উল্কা পিণ্ড; বাসন্তী শীতল হাওয়া আমি,
আমি কন্যা, সম্পূর্ণা নারী, রাজেন্দ্রনন্দিনী।
ছুঁয়ে দেখ দেবতার জ্যোতিকণা
সত্তাসূর্যে পাবে কন্যার
উজ্জ্বল আভা।।