এমন একটা শীর্ণ সময় যখন দেড়শো বছরের
প্রপিতামহের মতো তাল বৃক্ষের সান্নাটাও
উড়ন্ত পাতার প্রচ্ছদ ভীড়ে , কর্নিয়ার কাঁচে পিছলে যায় ।
কিশোরী আম্রপালির সবুজ ঠোঁট চুম্বনে
যুবক বাতাসের চোখ বুজে আসে ।
সমুদ্রের ইঙ্গিত পেলে ঝড়ের রাত্রি নামে বিকেলের পিঠে ।
পড়ন্ত পেয়ারার ডালে ঝুলে থাকে বাদুড়ের ঠ্যাং ,
মানুষের স্মৃতির মতো ভোলে না বাস্তুর ঋণ।
তছনছ হয় সূচিসিদ্ধ বাবুইয়ের সংসার
ঘাসমাতা এগিয়ে দেয় জাতকের ছাতা ।
ব্রহ্মাণ্ড -ভূক একাকিত্বে স্বার্থপর ডুবে যাই
লজ্জাবতীর মখমলি স্নায়ুর শরীরে ।
ঘুমন্ত বলে’ যাই জাগবার ভয়ে
— এক বিদ্যে ঘুম দেবে বাঁচবার !