শীতের সময় দারুণ আরাম নকশী কাঁথায় ওম ।
বিবির পরশ জাগায় হরষ মঙ্গল থেকে সোম ,
নলেন গুড়ের সরস পায়েস শীতল শীতের দিনে,
খেতাম সবাই দারুণ মজায় বিদেশী খাবার বিনে ।
হরেক স্বাদের হরেক পিঠের দারুন সুবাস ভাই ।
জিভের বায়না চতুর বেজায়, রসনা বলছে তাই
মায়ের হাতের গোকুল পিঠের জবাব নেই যে মোটে ।
গরম খেতাম, বাসিও খেতাম, আজ আর কোথা জোটে !
নতুন কাপড় গায়েতে সবার সংক্রান্তিটা এলে ।
রাত পোহালেই দিঘির ঘাটে যে চলি সবকাজ ফেলে ।
শীতের হাওয়া স্মৃতির পাতে ব্যথার বাদলে সাজে
হিমের পরশ হৃদয় বীণায় রাগিনী হয়ে যে বাজে ।
শীতের হাওয়া স্মৃতির পাতায় ব্যথার বাদলে সাজে
হিমের পরশ হৃদয় বীণায় রাগিনী হয়ে যে বাজে ।
এবাড়ি ওবাড়ি জুটতাম গিয়ে পিঠের লোভেতে সবে ।
সকাল হতেই বেড়িয়ে যেতাম লজ্জা করে কী হবে !
কানাইয়ের মা শীতে জর্জর, দিতাম কাঁথায় চাপা
দেখার কেউ গো নেইকো যে তার থরথরে তাই কাঁপা ।
খুশির আলোতে ঝলসে উঠতো তার সব বলি-রেখা ।
শীতের কাঁথার, শীতের পিঠের হঠাৎই পেয়ে দেখা
শিশির ধোওয়া ঘাসের ডগায় মুক্তা ঝরানো আলো
খেজুর রসের মাটির গেলাস ভীষণ লাগে রে ভালো ।
আলতা রাঙানো মায়ের চরণ ঢেঁকিতে কুটছে ধান
মধুর মধুর সুরের গমক দারুণ মজার তান ।
চালের পিটুলি ভরতো উঠান নানা আল্পনা হয়ে ।
শীতের সোহাগ জড়িয়ে বাতাস আনতো সুবাস বয়ে ।
কালের ভেলায় হারিয়েছে সব কোন্ সে অচিন পুরে ।
মনটা যে তাই সকল সময় খায়গো মা কুরে কুরে