ভাগ্য দোষেই অসহায় সব
শিশুরা যে আজ,
অভাব গায়ে সেঁটে থাকায়
করতে হয় তাই কাজ।
লেখাপড়া খেলাধুলা
যে বয়েসে চাই,
মন্দ কপাল পেটের জ্বালায়
শিশু ভুগছে তাই।
লোভ দেখিয়ে অনেক লোকেই
শ্রম করিয়ে নেয়,
বিনিময়ে পয়সা খাদ্য
যাহোক কিছু দেয়।
কেউ বলেনা,হবো সহায়
শিখবি পড়বি চল্,
খাবার পাবি,বস্ত্র পাবি
হবো তোদের বল।
শিশুরা যে ফুলের মতন
যত্ন করা চাই,
আইন করেও কি হলো বন্ধ?
চেয়ে দেখো ভাই।
দেশটা জুড়ে বাড়ছে কেবল
শিশু শ্রমিকের দল,
যত্ন পেলে বাড়তো ওরা
হতো দেশের বল।
অল্প টাকায় ধনী লোকে
শিশুশ্রমিক পায়,
নিজের ঘরেও আছে শিশু
ভাবে নাকো হায়!
ধনীর ছেলে স্কুল পোষাকে
বিদ্যালয়ে রায়,
গরীব শিশু বাসন মাজে
চোখের জলে চায়।
মনের মাঝে প্রশ্ন শিশুর
অবাক চোখে রয়,
এক বিধাতার গড়া সবাই
তফাৎ কেন হয়?
ঘুচবে কবে এই বৈষম্য
মোদের সকল দুখ,
সাধ জাগে গো বুকের মাঝে
একটু পেতে সুখ।
মা বাবা যে বড়োই গরীব
জুটে নাকো ভাত,
পেটের দায়ে তাইতো আজ
ব্যস্ত কচি হাত।