টুপটাপ টুপটাপ শিশিরের শব্দ
মরমে দেয় দোলা জাগে মনে নন্দ,
ভোরাই হলে পরে ঘাস গালিচায়
রোদপড়ে মুক্তোসম দ্যুতি ছড়ায়।
ঋতুরানি শীত এলে প্রকৃতি হাসে
রূপের পশরাতে ফলে ফুলে রাশে।
শিউলি কেয়ারা সব বাগিচায় থরে
শিশিরের ছোঁয়াতে পুলকেতেভরে।
শাপলা শালুক দুলে হিমেলবাতাসে
শিশিরের প্রেমে সবে মধুর সুহাসে।
দীঘিজলে পদ্মকোরক মেলে আঁখি
অরূপ প্রকৃতি দেয় মুগ্ধতা মাখি।
শিশির ভেজা ঘাসে শিউলিরা ঝরে
কূলবধূ খুশি খুশি আঁচলেতে ভরে।
শিশিরের ফোটা ধরে উল্লাসে মাতে
অবোধ শিশুমন হাতখানি পাতে।
ঋতুর বাহার সব দেখা যায় শীতে
গাঁয়ে ঘরে নবান্ন উৎসবে গীতে।
কুয়াশার চাদর ঢাকা রয় চারিপাশ
শিশিরের শব্দেহৃদে সুখছোঁয়ারাশ।
ঝিম ধরা মধু তানে শিশিরের শব্দ
বিভোর কবির চিত্তে শব্দেরা লব্দ।
মুগ্ধতায় লিখে কবি শিশিরের ছড়া
অনুরাগে মননে দেয় যাহা ধরা।