শ্রাবণ মেঘের চিঠি আসে বাদল ধারার খামে,ঝিরিঝিরি আকাশ বেয়ে ভুবন

মস্ত সোরগোল ছড়ার দেশেছড়া চুরির রব,দেশের হাজার ছড়াকারেমাথায় হাত দেয়

বিনম্রতা জ্ঞানীর ভূষণকর্মে তাঁকে জানে,অজ্ঞানী জন তর্কে মাতেমূর্খ সবাই মানে।

জোছনা বাগিচায় রূপসী দেখে তায়মুগ্ধ হলো আঁখি,চাঁদের রূপমায়া ‌ ছেয়েছে

হৃদয় জুড়ে তোমার ছবিভীষন একা লাগে,তোমায় ছাড়া শূন্য ভুবনজ্বলছি দহন

কুশিয়ারার তীরে সূর্যাস্তের সেই অপরূপ সন্ধ্যাঅস্তরাগের মায়াবী কনে দেখা আলো

যেমন চালান জগত প্রভু চলি তেমন করে,মন্দ ভাগ্যে জীবন তরী

নিদাঘ দহন শেষে বরষার ক্ষণে,বৃষ্টি মেয়ে উল্লাসেতে অঝোর ধারায় ;শীতলতা

ধনী বাপের আদুরে মেয়েঅনেকটা পন নিয়ে,বেজায় মোটা কনে ভ্যাবলাকরলো তবু

টাপুর টুপুর বৃষ্টি তানেটিনের চালে সাড়াআকাশেতে বিজলী চমকমনে ছন্দের তাড়া।

সত্য নিষ্ঠায় চলেন যারাসময়ের দেন দাম,শ্রমের মূল্যে জীবিকাতেবাঁচান তাদের প্রাণ।

পাল্কি পাল্কি দুঃখ নিয়ে অন্তহীন ঠিকানায়আমি আজ আকাশের মতো একেলা

বহু পূণ্যে ভবের মাঝেমানুষ জন্ম যদি রাজেপ্রভুর জয়টি গাও,আর পাবে

মাদলের তালে লাজ মেখে ভালেলছমি হীরা নাচে,ললিত ছন্দে হৃদি আনন্দেদোয়েল

আসলে বাধা চলার পথেসাহস রাখবে নিজের মনে,লক্ষ্যে অটল থাকলে পরেসাফল্য

দেশের ক্ষতি করছে যারাসুদ ও ঘুষের জালে,লোভের রুটি সেঁকতে থাকেসুযোগ

মেঘ পিওনের বার্তা আসেবাদল ধারার খামে,আসছে সুজন প্রেমিক আষাঢ়মনে ফাগুন

চাঁদ পাহাড়ের মজার গল্পেদারুণ খুশি ভোলা,ঠাকুরমায়ের কাছে আছেমস্ত গল্পের ঝোলা।

দামিনীর ঘনঘটা আকাশের মাঝেআষাঢ়ের বারিধারা আঙিনা ভাসায়;শিশুমন পুলকিত চোখে খুশি

আলতা পায়ে রাঙা বৌ যায়কাহারবা দল পালকিটা বায়হুমনা্ হুমনা্ তানে,বরাক

জীবন তরীর বৈঠা খানিসামলে চালাও ভাই,বেসামালে মাঝ দরিয়ায়ডুবতে নাহয় তাই।

কঠিন বড়ো সত্যের লড়াইনানা বিঘ্ন আসে,নির্ভীক মন রাখেন যেজনসকল বাধা

ইতিহাস সাক্ষী কর্মের ফল জীবৎকালীন পেতে হয় অনস্বীকার্য যে যেকোন

দেখেছি,মাঝে মাঝেই দেখা যায় দলছুট সাজেঝকমকে রঙিন পোশাকে সেজেগুজেওরা ট্রেনে

শিশু বেলা খেলাধুলা খুশি ভরে কাটে,পিতা মাতা গুরুজনে মাখে মায়া

জীবন খাতার পাতায় লেখাহিসেব ছিলো ভুলে,সব কাজে ভুল লাগলো রে

শ্রাবণ মেঘে আকাশ কালোমেঘে ঢাকা তারা,দেখতে যে চাই মাকে আমারমন

আষাঢ় এলে আকাশ জুড়ে কাদম্বিনী ছায়,ঝমঝমিয়ে মল বাজিয়ে বৃষ্টি নামে

বুঝলি মন, বললো পবনচলতো চালাই নায়ে,মাছের ঝাঁকে নদীর বাঁকেনাচছে ডানে

বিজুলির ঘনঘটা আকাশেতে ছায়,কালো মেঘে ভরে আছে দেখে লাগে ভয়

ঝা- চকচকে প্রদীপের আলো ভারী মোহময় স্নিগ্ধকিন্তু ,তার তলায় জমাট

মাটির হাঁড়ি ঘট কলসীসরা পাতিল যত,যুগের বায়ে যায় হারায়েমৃৎশিল্প যত।

ওমা! তোমার মুখটা মলিনদুচোখ ভরা জলে,কিসের ব্যথা তোমার মনেদাওনা মোদের

ঝটিকা ঝঞ্ঝার বায়ে ধরা কাঁপে ত্রাসে ,গুরু গুরু বজ্রপাতে জীবকুল

ঘনকালো কৃষ্ণমেঘে গগনের মাঝে,ধরাতলে আগমনে বিলম্বিত ক্ষণে;দামিনীর রূপরাশি আড়ম্বরে রাজে,দিবাকর

নিকষ কালো আঁধার রাতেশঙ্কা ভরে চলি,জীবন পথে একলা থাকারদুঃখ কাকে

মাতৃসেবা করে যেজনতার প্রতি রব খুশি যে রনআশিস রাখেন শিরে,মায়ের

হেঁটেছি মনের পিপাসা মিটাতে ধরিত্রী মাঝ কত,মরীচিকা পিছে ঘুরে ঘুরে

ক– কবি তুমি প্রতিভার বিরল আধারবি- বিদ্রোহী চেতনায় বিস্ময় অপার।

খেয়ালী মন যায় হারিয়ে কোন্ অজানা ঠাঁয়,মন খারাপি মেঘ দুপুরে