শিশির ভেজা শরৎ বেলাধরে অরূপ সাজএলো ধরার মাঝ,শিউলি কেয়া ফুটে

চোখের পাতা ভারী হলেই ঘুমের ছায়া নামে,অম্ভুত যে ছায়ামূর্তি আসে

অবুঝপনা থৈ থৈ অভিমান আষ্টেপৃষ্ঠে আঁকড়ে থাকে রোজ নামচার স্বরলিপি,তবুও

সাদামাটা সহজ সরলভেবেছিলাম যারে,মিঠে কথায় গলে গিয়েমনটা দিলাম তারে। মনটা

মন পাখিটা হা- পিত্যেশেফেলে চোখের জল,কোথায় গেলে সুজন সখাহারাই মনের

এ চাঁদ না আমার না কখনো তোমারতবু মন ছুঁতে চায়,বারম্বার

হেড অফিসের বড়বাবুর আজব ব্যামো ভারী,সুযোগ পেলেই ঝটপটিয়ে লেখেন পদ্য

সানাই তো জীবনে ‌একবারই বেজেছিলমধুরাতে উঠেছিল দোলা,মধুমিলনে মধুগুঞ্জনে শিহরিত ক্ষণস্মৃতির

ললনা রূপসী শ্যামলী শ্রেয়সীচলছে নদীর পরে,ঠমক ঠমক রূপের ঝলকমুখেতে হাসিটি

খোকা আমার ভারী দুষ্টুপড়তে চায়না মোটে,খেলাধুলা হৈ–হুল্লোড়েবন্ধু সাথে জোটে। ভোর

জীবন জুড়ে অঘোর নেশাআছে চিত্ত ছেয়ে,নেশা পর্দা চোখটা ঢাকাছুটি স্বপ্নে

শিউলি গন্ধে অরূপ ছন্দেমনটা আলো করে,নীল আকাশে মেঘের ভেলাখেলে খুশি

বীরসিংহ গ্রামের সিংহ শিশুঈশ্বরচন্দ্র যার নাম,সাগরসম জ্ঞান যার অপারমেদিনীপুর ছিল

জগত মাঝে নানারকম মানব জাতি আছে,সুকাজ করে ভালো লোকে জীবন

কলুর ঘানি‌ টেনে টেনেইহাড়মাস হলো কালি,ব্যাঙ্গ ভরে গিন্নি বলেমুখেই সোহাগ

আয়রে ছুটে নবীন সবেউড়িয়ে কেতন খুশির রবেদেশের সেবার জন্য,দেশের সবার

অগুনতি অস্ফূট অব্যক্ত বর্ণমালার দাপাদাপিনিরন্তর টের পাই মনের চিলেকোঠা জুড়ে,ব্যথাময়

সবুজ বসনা রূপসী ললনাপুষ্প চয়ণ তরে,কুসুম কাননে চকিত আননেফুলেতে সাজিটি

সব জিনিষে পাচ্ছি যে টেরভেজাল ভেজাল গন্ধ,ছলকপটে সবার মনেআসল- নকল

ঝিঙে মাচায় ফিঙে চড়ুইতিরিং বিড়িং নাচে,দোয়েল ময়না সাধছে গলাবসে সজনে

চিতল মাছে বেজায় কাঁটারাজার তবু বায়না,সাথে থাকলে বাচা মাছটাকিছুই আর

মেঘ বালিকা চপল ভারীদুষ্টুমিতে রয়,আকাশ খানা কালো করেএকটুকু নেই ভয়।

রোদে পুড়ে বৃষ্টি ভিজে‌ চাষি করে চাষ,যতন করে ফসল তরে

সত্য সুন্দর দয়াময় যে তোমায় প্রভু জানি,অজ্ঞানতার তামস ঘুচাও আলোর

মন যমুনায় উঠছে তুফানলাগছে যেগো রসের ঢেউ,মরমীয়া প্রেমের বাঁশি সর্বনাশীবুঝতে

শিক্ষা জ্বালায় জ্ঞানের বাতিশিক্ষক দেখান দিশা,শিক্ষা দানে ঘুচান শিক্ষকঅজ্ঞান অমা

কৃষক ফলায় ফসল মাঠে শ্রম সাধনা দ্বারা,সবার মুখে ফোটায় হাসি

পেটের ক্ষুধা মেটে রে ভাইভাতটা খেতে পেলে,মনের ক্ষুধার কিছুতেই যেশান্ত

জীবন বেলার শেষের ক্ষণেবাজলে শমন বীণ,থাকবে পড়ে ধরার মাঝেআমার যত

পোশাক আশাক দামী হলেইমানুষ কি হয় সবে?আচরণে সুশীল হলেইমানুষ বলে

ধরার মাঝে সুখের আশেকরছি যতোই চেষ্টা,দুখ পাথারে খাই যে খাবিমেটে

হলুদ বসনা অরূপ ললনাএকেলা বিরলে বসে,তিয়াসী নয়ন বাসন্তী মনআঁকিবুঁকি কাটে

সবাই যদি হতো ভালোঘুচে যেতো সকল কালোথাকতো নাকো দুখ,থাকলে সবে

বলতে পারো মানুষ কেন টাকার পিছে ছুটে!ভালো কাজে থাকে নাকো

টগ্ বগিয়ে ছুটছে ঘোড়াঅচিন পুরের দেশে,নির্ভীক চেতা রাজার কুমারচলছে বীরের

শরৎ এলে দেখতে পাই যেমেঘেরা রয় খেলাতে,বলাকাদল নীলাকাশেওড়ে খুশির ভেলাতে।

স্বরলিপি আছে লেখা হৃদয়ের মাঝে,অবসরে চেয়ে দেখা দিবসে বা সাঁঝে।ছবিগুলো

টাকা বনাম টঙ্কা গীতিজগৎ জুড়ে চলছে আজ,মোহে অন্ধ এর চমকেধরতে

এক যে ছিল ছিলিম্ চাচামস্ত বড় নেতা,চটকদার সব পোশাক আশাকবাদশাহী

ললিত ললনা অরূপ বসনারাই কিশোরী রাধা,বংশীধ্বনি শুনে আকুলিত মনেমানেনা কোনই