বৃহন্নলা শেয়ালদা থেকে লালগোলা প্যাসেঞ্জারে উঠেছি।কাচড়াপাড়া যাবো। লোকজনে ঠাসা।দরজার কাছেই

বিশ্বাসেতে ভক্তি রেখেসাধন করতে হয়,অবিশ্বাসে ভক্তি শূন্যজ্ঞানী জনে কয়। নামে

কত শোভা ধরে আছে ধরা ভরেচোখ ভরে যায় দেখে,নভে মেঘে

হৃদয় দিয়ে লিখলে কবিকাব্য ছড়া যত,কালের বুকে থাকবে গাঁথাঅমর হয়ে

ঋতুর পরে ঋতুর খেলাচলছে ধরার মাঝে,ভিন্ন ভিন্ন রূপের ডালিঋতুভেদে রাজে।

চরিত্র এক অমূল্য ধনভুবন মাঝারে জেনো,সচ্চরিত্র সম্মান পায়শাস্ত্রের বাণী মেনো।

নীল আকাশে উড়ছে পাখিঘুরছে সুখে ফুলে,দেখলে পড়ে জুড়ায় আঁখিমনটা ভরে

[15:57, 18/05/2023] Shibani Gupta (Writer): তেপান্তরে মাঠ পেরিয়েভূতের গ্রামে জঙ্গলে,রাত

টাপুর টুপুর ঝুমুর ঝুমুরবৃষ্টি ঝরে রাতে,গাছের শাখে সিক্ত সুখেচাতক মাতে

উড়োচিঠি বীরেন বাবু ভারী বাজারের ব্যাগটা নিয়ে ঘেমে নেয়ে একসা

ভোরের পাখি ‌ উঠছে ডাকিফুলের শাখে ওই,গগন জুড়ে বিহগ উড়েমুগ্ধ

মানুষ মাত্রে হৃদয়ে চাইমানবতা থাকা,সাম্যের পথে চলবে সবাইবোধের পরশ মাখা।

সবুজিয়া ঘেরা দেশটি মোদেরছিলো বৃক্ষেতে ভরা,প্রখর তাপেতে খাল বিল শুখাচারদিক

আবহাওয়া বলছে খবরআসছে সাইক্লোন মোখা,তীব্রতর গতি যে তারযাবে নাকো রোখা।

চারপাশে চাই দেখতে না পাইদিশেহারা মনটা মা তাইব্যথা জাগে বুকে,কত

জাতের নামে বজ্জাতিটাদাওনা এবার ছেড়ে,ভেদ- বৈষম্যের কলুষ কালিফেলো এবার ঝেড়ে।

মানুষ এখন বদলে গিয়েছেপরেছে মুখোশ আজ,কুকুরের তবু ভয় মনে আছেমানুষের

বিভেদ- দ্বেষে ধর্মে বর্ণেকাদা মাখে মন,খুনোখুনি – রক্তপাতেহারায় আপন জন।

বিশ্বের কবি তুমি যেগো রবিরয়েছো হৃদয় জুড়ে,ছন্দে ছড়ায় কাব্য গাঁথায়সঙ্গীতে

ভালোবাসা জগতের অমূল‍্য রতন,যায়না কভু কেনা,বেশ বাস অর্থে পাওয়া যায়ভালোবাসা

ধূপের মতন স্নিগ্ধ সুবাসছড়ায় যাহার মন,তার মতন কি আছে গো

এরা কারা! পথেই থাকে?ছেঁড়া জামা গায়ে,ছিন্ন ছাউনি বস্তা বেঁধেহাঁটছে খালি

শিক্ষায় বাড়ে জ্ঞানের বিভাঘুচায় মনের কালো,জীবন সফল করতে হলেশিক্ষা জ্বালে

কাব্যজ্যোতির অমল দ্যুতিরমধুর রসের ধারা,অমিয় সুধা মেটায় ক্ষুধামুগ্ধ পরাণ কাড়া।

রোদে পুড়ে ঘাম ঝরিয়েশ্রমিক করতো কাম,মালিক পক্ষ নিঠুর বড়োদেয়নি ন্যায্য

বাঘ মামাজী বর সেজেছেসেই খুশিতে মন মেতেছেরঙে,সিংহ জেঠু ছাতা নিয়েভালুক

দেখলি আনা কান্ডখানাদেখবি তো আয় সবে,দুই বিড়ালে ঝগড়া করেগরর গরর

গ্রীষ্মের গরম বড়ো চরমঝরে পড়ে ঘাম,তবুও যে সব ভুলিয়ে দেয়ফলের

নারী হলে গুণবতী সংসার সুখের অতিপ্রবাদ বচন বলে জানি,অলস সুপুরুষ

জীবনের ধারাপাত কেমন যেন বদলে গেছেচেনা নামতা গুলোও আর কিছুতেই

দেখি চেয়ে কাজলা মেয়েফুল তুলছে বাগে,মুখের হাসি জোছনা রাশিহৃদয় রাঙে

দেমাকি চাঁদের আলো ছড়ালে আকাশেম্লান হয়ে যায় তারা,মোহিনী মায়ায় ভরে

দিনেরাতে চিল চীৎকারেকানে লাগে তালা,তরমুজ আলীর দুই নিকাতেবাড়লো শুধু জ্বালা।

সত্য জেনে ধর্ম মেনে কর্মে রাখি মন,সর্ব জনে রেখো মনে

ঈদগাহেতে যাচ্ছে খোকাবাবার হাতটি ধরে,নতুন জামা মাথায় টুপিখুশিতে মন ভরে।

ঈদের দিনে খুশির বীণেমনে সুখের ঝিলিক,সাজে বাহার নানা আহারকাজের বাড়ে

পবিত্র ঈদ রাঙিয়ে হৃদবহে খুশির ধারা,চানটা করে উচ্ছাস ভরেঈদগাহে যায়

ভাবুক কবি আঁকে ছবিভাবের ছন্দ রসে,দেখে যাহা লিখে তাহাশব্দ নিয়ে

নয়নের মণি রূপে ভরা ধনিমাধুরী মাখা বুলি,চকিত চরনে ছুটে অকারনেদোলনা

বুঁদ —–হয়েছিলাম —কেমন যেন নিজের ভেতরেইকথার ভাঁজে কথারা জমছিলোসঙ্গোপনে,বুঝিবা আপনমনেই-