স্বামীসুখ নতুন বইটার প্রথম ম্যাটিনি শো—দর্শকের অভাব নেই। সুরমাও অসংখ্য

শিবরামের ছেরাদ্দ দুঃখু করছিলাম হর্ষবর্ধন বাবুর কাছে। ‘একটা ভারি আফশোস

জবাই জবার মতন মেয়ে আর হয় না, এই কথা সবার।

সাহিত্যিক সাক্ষাৎ উঠতি বয়সে আমি একটা চলতি সাপ্তাহিকের সম্পাদক হয়েছিলাম।

বিহার মন্ত্রীর সান্ধ্য বিহার সেবার পুজোয় সেই বিহারেই যেতে হল

গোবর্ধনের কেরামতি আসাম সরকারের নোটিশ এসেছে প্রত্যেক আসামির কাছেই। হর্ষবর্ধনরাও

কালোবাজার রজনী স্খলিত পায়ে মই বেয়ে উঠছিল। সিদ্ধিলাভের পর অবিচলিত

মন্টুর মাস্টার বি এ পাস করে বসে আছে মিহির, কী

মূকং করোতি বাচালং খাবারের টেবিলই হচ্ছে আমার পাকিস্থান। পাকঘর থেকে

আমার সম্পাদক শিকার হাম কিংবা টাইফয়েড, সর্পাঘাত কিংবা মোটরচাপা, জলে-ডোবা

শুঁড়ওয়ালা বাবা বইটই গুছিয়ে নিয়ে মন্টু বেরোবার উদ্যোগ করছে, এমন

আস্তে আস্তে ভাঙো এমন এক-একটা দুঃসংবাদ আছে, যা আস্তে আস্তে

বিবেক যদি দেখা দেয় সকাল থেকেই মনটা খিঁচড়ে ছিল। মুখ-হাত

ঘোড়ার সঙ্গে ঘোরাঘুরি আর কিছু না, একটু মোটা হতে শুরু

অশ্বত্থামা হত ইতি পাশের বাড়ি বেরিবেরি হওয়ার পর থেকেই মন

মাথা খাটানোর মুশকিল কাঁধের উপর একটা না থাকলে নেহাত খারাপ

হর্ষবর্ধনের কিরিকেট দুই ভাই-ই খেলোয়াড়। ছোটোবেলায় সেই ধুলো খেলার কাল

ইংরিজি যার নাম দাড়ি কামাতে কামাতে শুনছিলাম… দাড়ি হচ্ছে ঠিক

হোলির হায় হায় দোলের দিনে শুধু টেলিফোনের লাইনেই না, সব

হাতি-মার্কা বরাত বাজার মন্দা মানেই বরাত মন্দ। কালীকেষ্টর পড়তা খারাপ

আমার ভালুক শিকার তোমরা আমাকে গল্প-লেখক বলেই জানো। কিন্তু আমি

চটির সঙ্গে চটাচটি না:, বিয়ের নেমন্তন্ন পেলে আর ছাড়া নয়।

হর্ষবর্ধনের ‘দ্বিরাগমন’ চেহারা খারাপ শুনলে হর্ষবর্ধন আর খাড়া থাকতে পারেন

নব্য উপকথা ‘আমি একবার এক বর্মি মেয়ের পাল্লায় পড়েছিলাম—প্রেমঘটিত ব্যাপার,

হাতির সঙ্গে হাতাহাতি সংগ্রহ করার বাতিক কোনো কালেই ছিল না

অমূলক কাহিনি নয় ছেলে এসে ষষ্ঠীচরণকে ধরল—‘পড়ানো শুরু হয়ে গেছে

ইতর বিশেষ সবে কাগজ কলম নিয়ে গল্প ফেঁদে বসেছি, এমন

স্বামী হওয়ার সুখ সন্ধ্যেয় যখন চারুর সঙ্গে আমার কফি হাউসে

রিক্সায় কোনো রিস্ক নেই পাড়ায় গদাইয়ের গাড়ি চেপে একবার ভারি

অঙ্ক সাহিত্যের যোগফল আমার পাশের বাড়ির রাজীবরা খাসা লোক! ও,

নিখরচায় জলযোগ সেই থেকে নকুড় মামার মাথায় টাক। ফাঁক করছি

প্রেম এবং দাঁত প্রেমের দাঁত সব জায়গায় সহজে বসে না,

জোড়া ভরতের জীবনকাহিনি বেশ কিছুদিন আগেকার কথা। গত শতাব্দীর শেষের

কল-স্বর অবিনাশের আপিসে এসেছে অভিলাষ। সাড়ে চারটা পার তখন, ছুটি

দুগ্ধপানের ইতিহাস আমাকেও যে একদিন ঘটি ঘটি দুধ গিলতে হবে

ফিসটের ফিসটি অনেক দিন পরে দেখা। দেখতে পেয়েই পাকড়ালাম পরিতোষকে—‘এই,

শ্রীকান্তের ভ্রমণকাহিনি দেশ-বিদেশ বেড়াতে তোমরা সকলেই খুব ভালোবাস। সব ছেলেই

সত্যবাদিতার পুরস্কার হোস্টেল-সুপার সত্যপ্রিয়বাবুকে, ঠিক ঠিক বলতে গেলে, যথার্থ বলতে

স্বামী মানেই আসামি বীরেনবাবু ধীরে ধীরে বাড়ি ঢুকলেন—চোরের মতো টিপে

হর্ষবর্ধনের অক্কালাভ অবশেষে সেই দিনটি এল। শেষের সেই শোকাবহ দিনটি

পরোপকারের বিপদ আমার বন্ধু নিরঞ্জন ছোটোবেলা থেকেই বিশ্বহৈতেষী—ইংরেজিতে যাকে বলে

গুরুচন্ডালি সীতানাথবাবু ছিলেন সেকেণ্ড পন্ডিত, বাংলা পড়াতেন। ভাষার দিকে তাঁর

পাতালে বছর পাঁচেক তখনই বারণ করেছিলাম গোরাকে সঙ্গে নিতে। ছোটো

গল্পের উপসংহার ভজহরি গল্প লেখে। ভাষার তার অভাব নেই, ভাবের

স্ত্রী-সুখ দাম্পত্যকলহে নাকি বহ্বারম্ভে লঘুক্রিয়া হয়ে থাকে। কথাটা সত্যি, কেবল

একটি স্বর্ণঘটিত দুর্ঘটনা বিশ্বেশ্বরবাবু সবেমাত্র সকালে কাগজ খুলে বিশ্বের ব্যাপারে

ঠিক ঠিক পিকনিক বিনি আমার ওপর হুমড়ি খেয়ে পড়ে। আর,

পুরস্কার-লাভ জমজমাট সভা। মহকুমার ছোটো বড়ো সবাই জড়ো। ক্ষুদ্র মহৎ

ভ্যা-জাল যেমন গাধার মতো চলেছে ট্রেনটা, তেমনি যাত্রীর গাদাগাদি। তিলধারণের

প্রজাপতির নির্বন্ধ বেশি মেয়ে পাওয়া জীবনে কিছু না, বেশ মেয়ে