আলসে দুপুরে শীতের আমেজে সোনালী সপ্তর্ষিরেখা,
মায়ের হাতে রঙিন উলে এক -কাটা সোজা, দু -কাটা উল্টো,
হালকা, মোলায়েম পালকের মতো তুলতুলে ওম! ঘিরে রাখে…
জিপআঁটা ব্র্যান্ডেড সোয়েটারে দমবন্ধ পারদের হলকা উঠে ;
এখনও মজ্জায় ডাঁই করা অবেলার বোতামের সম্পর্ক,
হলদে কুয়াশাতে ছুটি – ছুটি আমেজে
আহ্নিক আবর্ত ভুলে বইয়ের নেশায় বুঁদ হয়ে থাকা,
ফড়িং ডানায় চেপে অভিযানের দুর্বার নেশায়
আবিষ্কার করেছি ভুতুম তেপান্তরে,
আজব এক প্রাণ ভ্রমরের দেশ….।।
ব্যাঙমা-ব্যাঙমী, দত্যি-দানো, রাজা-রানি চরিত্রেরা,
তৃতীয় ভুবনে আবহমান কাঁচা মাদুরের গন্ধে গল্প দাদুর আসর বসায়,
দ্রাবিত সময়ে আজকের হতভাগা শিশুরাও বুঝে গেছে,
স্নায়ু মজ্জায় সমঝোতার জীবনপাঠ ঠাকুমার ঝুলি ভরায়…….।
স্পর্ধায় ধীরে ধীরে এগিয়ে চিলেকোঠার সদ্যপ্রেম,
খুচরো বেলা কাটে দেবদারু ছায়ায় উপন্যাসের নিক্ষিপ্ত দোলমঞ্চে,
রোদেলা আঁচে আচারের বোয়াম নস্টালজিয়ার পাসপোর্ট,
কার্নিশে পা দুলিয়ে কাঁচা আমের জীবনী স্বাদ,
জিভে চটকা তুলে চোখের জলে অস্তিত্বের সুখে বুঁদ হওয়া……।।
আজও দু-এক ফোঁটা নোনা জলে ডুবি হঠাৎ বিষাক্ত ছোবলে,
পাইথনের গ্ৰাসে ধীরে ধীরে চলে যাই চতুর্দশীর আঁধারে,
অগস্ত্য শুষে নেয়, যা আছে সব ব্যক্তিগত-
তবুও…..
যুক্তির নির্দিষ্ট সীমারেখায় হৃদয় আজও লালন করে;
যমুনাবতী সরস্বতী কাল যমুনার পুতুল বিয়ের আসর,
মালীর ছোট্ট চারা কিশোরীবেলার বাঁধন আলগা করে,
গঙ্গাযমুনায় ভেসে মাটি আর আকাশে বায়বীয় সাঁকো বাঁধে,
‘জীবনবন্দী বুকচাপা কুঠুরিতে’ শ্বাস নেয় উলের ওম!
মায়ের হাত ছাড়িয়ে রঙ্গিন উলের গোলা গড়াতে গড়াতে সময়ের কালাকালে নুতন ভ্রুণকে আষ্টেপৃষ্ঠে জড়ায়..…।
ধুনিজ্বালা পথে মুহুর্তের পর মুহুর্ত –
জীবনের গেরুয়া তীর্থের একেকটা হার্ডেল
পেরিয়ে চলা…..।।