শান্ত দীঘির জল করে খেলা , রোদ এসে বলে দেয় বেলা
আমি অথিতি হয়ে বৃক্ষ তলে পবনের প্রহর গুণী
ভ্রমরের গান , প্রজাপতির নাচ , মৌমাছির কোলাহল
অদূর প্রান্তে নেমে গেছে আকাশ তুলোর পাহাড়ে মেঘ হয়নি চঞ্চল ।
শানের ঘাটে কলসি কাঁখে যুবতীরা হেটে যায় দেখি
শহুরে বাবু আমি ,অনন্ত স্নেহের এই বঙ্গের
এই দেশে এসে সৌহার্দ্রের মিলন শিখি ।
কি বলে যায় হেথায় ; দাঁড়ায়ে কেমন নীরব বৃক্ষ ?
আজীবন কাল ছুটেছি তাই কখনো দাঁড়াই নাই ওদের পাশে ,
ওদের কথায় , ওদের ভাষায় আমি অবুঝ ,আমি অতি সুক্ষ ।
শরৎ মিশ্রিত শীতল হাওয়ায় ধানক্ষেত হয়েছে গর্ভবতী
কাশফুলেরা নিয়েছে বিদায় ;
জল মেঠো পানীফল ওর বন্ধু হতে হয়েছে যুবতী ।
কি দারুন দৃশ্যের মাঝে আমি কেমনে দাঁড়ায়ে থাকি ?
একমুঠো দ্রুত উত্তরে হাওয়ায় একঝাঁক শিরীষের পাতা
এসে বলে আরও কিছু দেখিবার আছে কি বাকি ?
এই সবুজ বাংলা আমাকে কেন বলে কবি ?
কেবল নিজের পেট ভরেছি , কখনো তো আঁকিনি তার ছবি
ঋণী তব আপাদমস্তক, দিও ভার তব আঁকিবার একটি চিত্র
সাঁতার কাটিছে জলে ; কিশোরের দল আঁকি সন্ধান, খোঁজে মানচিত্র ।
আঁকাবাঁকা রাস্তায় কোমল রোদ্দুর বয়ে গেছে কিছু দূর
হলুদ ফুলগুলো হেসেছিল কেন নেই তার উত্তর ,
সাদা বক উড়ে যায় ধানক্ষেত পাহারায়
শালিকের দল পোকামাকড় খুটে খায় ,
প্লাসটিকের দড়িতে কাদের জামা শুকায় ।
গ্রাম জোড়া মাটির ঘরে লেখা আছে পিঠেপুলির ইতিহাস
ধানের ক্ষেতে শরৎ বলে এসে আর মাত্র দুমাস ।