গগনে গরজে মেঘ এলো বরষা
আঁধারে ঢেকেছে দিশি নাহি ভরসা
ঝরিছে অঝোরে বারি চাষি সবে ফেরে বাড়ি
খরতর নদী স্রোত হলো সহসা
জীমূতেরা চলে ধেয়ে বেগে তরসা।
শরত আকাশে যেন শ্রাবণ ধারা
ধান পাটে কোলাকুলি লুটিয়ে সারা
নদী ধারে কাশফুলে সমীরণে দুলে দুলে
ভিজে হয় ম্রিয়মাণ ছন্নছাড়া
শেফালিকা পড়ে ঝরে হয়ে শ্রী হারা।
তরি মাঝে বসে আছি আমি একেলা
নদীজলে ঢেউ রাশি করিছে খেলা
দূরে দূরে গ্ৰামগুলি ঝাপসা ঘোমটা তুলি
যেন পটে আঁকা ছবি রূপসী মেলা
জলে থৈ ধান খেত বাদল বেলা।
সবিতা গেলো যে পাটে সন্ধ্যা নামে
পারাপার কোলাহল নিমেষে থামে
সেঁজুতি উঠিল জ্বলে গ্ৰামে গ্ৰামে গৃহ তলে
যাত্রী মাঝিরে হাঁকে ফিরিবে ধামে
মাঝি কয় নিরুপায় বিধি যে বামে।