দূরে,ওই নীল দিগন্তে অনন্ত আকাশ,
মাটির পরশ মেখে করছে কানাকানি।
কানপাতি, আবারও আকাশ পানে চেয়ে থাকি, আকাশ কতো গভীর!
শব্দ খুঁজছি..!
নীল আকাশের গভীরতা ছুঁয়ে নেমে আসে নৈঃশব্দ্য…!
নিস্তব্ধতারও শব্দ হয়।
যেমন গভীর অন্ধকারের আলোতে ঘন নীলচে-সবুজ ঐশী আলো।
তাঁর নাদ…
যেন বিশ্বচরাচর জুড়ে শব্দ।
তোমায় লিখবো বলে, আমি শব্দ খুঁজি।
একটা একটা করে অক্ষর সাজাই।
এক অক্ষর জীবনের বালুচরে লিখি,
এক অক্ষর লিখি নদীর জলে।
জানি বহতা নদী ঠিক পৌঁছে যাবে সেই চিঠি নিয়ে তোমার কাছে।
আবার এক অক্ষর লিখি গাছের সবুজ পাতায়,
এক অক্ষর উড়িয়ে দিই হাওয়ায়,
জানি বেগবান হাওয়ায় চিঠি পৌঁছে যাবে ঠিক তোমার ঠিকানায়।
আবার কি মনে করে এক অক্ষর পুঁতে দিই বৃষ্টি ভেজা সোঁদা মাটিতে!
অক্ষর জুড়ে জুড়ে দেখি কতো ফুল ফল ফোটে অজানা আনন্দে।
ওরা হাসে, নিজেদের ভাষায় বলে কথা।
আবার সব অক্ষরগুলো জুড়ে জুড়ে তোমায় কাব্যি করে লিখতে যাব যেই,
দেখি অক্ষরগুলো দুলে দুলে হাসছে,
ছুঁতে যাবো যেই…দেখি আমার বলে কিছুই নেই, সবই তোমার অক্ষর! তোমারই শব্দ!
কখন যেন দু ফোটা জল আমার চোখে মুখে ছুঁয়ে গেল।
আমি আবারও অনন্ত আকাশের পানে চাই, গভীর নিস্তব্ধতা কে সাক্ষী রেখে।