এভাবেই বিছানার সীমানা খুঁজি রোজ
এভাবেই রাতখাওয়া শরীরে রাখি হাত
ছৌনাচের তালে তালে অক্ষর সাজিয়ে রাখি
অন্ধকার বাতিঘরে। এখানে আলুলায়িত প্রেম
একেবারে নগ্ন, তবু নিরন্ন নয়—
এই শেষ বাক্যটাই আদালতে প্রবেশের আইডেন্টিটি কার্ড,
মহামান্য জজসা’ব এর মধ্যে থেকে বুঝে নেবেন
অশ্লীল আকার ইঙ্গিতের বেহায়াপনা
চকমকি ঘষে ঘষে আগুন জ্বেলেছি।
এ আগুনে চিতা নয়, জ্বলে ওঠে আণবিক চুল্লির অবিশ্বাস
বিছানা বালিশের হ্যাঁচড় প্যাঁচড় শুনতে শুনতে
দোতারার সুরে চোর-পুলিশ খেলা
‘এসো প্রেম, আত্মলগ্ন হও প্রসবের আগে’- বলেছিল সে
উবু হয়ে বসে ছিল আকাশ নামক দরদালানে একা
যৌনরোগ সংক্রমণ এড়িয়ে গুছিয়ে
হাতে হাত রেখে খুঁজেছিল এক পাহাড়প্রমাণ অধিকার
রাত পোহালে শরীরের আনাচে কানাচে ছেঁড়া পাণ্ডুলিপির উই
অহংকারী বিচ্ছেদনামার চৌকাঠ পেরিয়ে সে বলেছিল,
‘এই ভালো। ছদ্মবেশি পরিযায়ী নয়, দেশান্তরে যাব স্বনামে, সমনামে…’
এভাবেই ডায়রির দিনলিপি শেষ।
এভাবেই নখে নখে নেইল পালিশের রংচটা স্বাক্ষর
লেখালেখি হয়ে যায় বিকেলের দড়কচা শৈশব …