আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে আছে কলঙ্কের দাগ,
হয়তো বা অনুসন্ধিৎসু মনের অলঙ্করণ,
মহিমান্বিত মায়াবী জোছনায় উদ্ভাসিত নিষ্কলঙ্ক চন্দ্রিমা,
সব দায় নয় একার অমাবস্যা তিথি জানে,
চরকাবুড়ি রোজ চরকা কাটে শত কথায় মাঝে,
কোজাগরী পূর্ণিমা রাতে উচ্ছল জোছনা ঝরে,
তরল রুপোলি ধারা বসুন্ধরা সিক্ততা ধরে,
ঝলসানো চাঁদ হয় রূপকথা অনন্ত ঐশ্বর্যে।
লুকোচুরি মন খেলে আনমনে দৃষ্টিবিহ্বল ক্ষণে,
প্রেয়সীর এলোকেশে আছড়ে পড়ে স্বপ্নিল ছায়াপথে,
অনুরাগ চুঁইয়ে পড়ে বেহিসেবী রূপলাবণ্যে,
কবির কবিতা খুঁজে পায় মেধাবী একনিষ্ঠ ব্যাকরণ।
নিশাচরী আবেগ আবেশের বিচ্ছুরণে রাত জাগে,
জোয়ার ভাটার টানে রোমাঞ্চ জোছনায় অকৃত্রিম সুধা ঢালে,
নক্ষত্রের সাথে সখ্যতায় সহবাসে ঝরে,
তৃষ্ণার্ত চকোর পাখি পান করে রূপশশী এই মধু রাতে ।
মায়াবী সোহাগী চাঁদ ছড়াও জোছনায় অপরূপ শোভা,
শূন্যতা হোক আলোকিত পূর্ণতার ছোঁয়াচে আলোয় ।