রাসযাত্রার ইতিবৃত্তান্ত
বৈষ্ণব সম্প্রদায়ের এই রাসযাত্রা আসলে ঈশ্বরের সঙ্গে আত্মার মহামিলনের এক বিশেষ বাৎসরিক উৎসব। বৈষ্ণব ভাবধারায় শ্রীকৃষ্ণের প্রেম প্রকৃতির এই উৎসব যেন এক বিশেষ বার্তা বহন করে। বৃন্দাবনের পাশাপাশি আমাদের এই রাজ্যে নদীয়া জেলার রাসযাত্রা বেশ ধূমধাম সহকারে পালন করা হয়। পুরাণে এই রাসযাত্রার উল্লেখ রয়েছে। কিন্তু কিভাবে উৎপত্তি হয়েছিল এই রাসযাত্রার ? শ্রী কৃষ্ণের সংস্পর্শে এসে গোপিনীদের মন যারপরনাই আনন্দিত এবং অহঙ্কারে পূর্ণ হয়ে উঠল! ওদিকে শ্রী কৃষ্ণ সেজন্য অন্তর্হিত হয়ে গেলেন। গোপিনীরা নিজেদের ভুল বুঝতে পেরে শ্রী কৃষ্ণের স্তব স্তুতি করতে শুরু করলেন। অবশেষে শ্রী কৃষ্ণ প্রত্যাবর্তন করলেন এবং গোপিনীদের মানব জীবনের প্রকৃত স্বরূপ উৎঘাটন করে অত্মরাত্মা শুদ্ধ করে গোপিনীদের মনোবাসনা পূর্ণ করলেন এবং অবশ্যই জাগতিক ক্লেশ থেকে মুক্ত করলেন। এই থেকেই রাস উৎসবের সূচনা হয়েছিল। বাংলায় শ্রী চৈতন্যের রাস উৎসব পালনের কথা যেমন শোনা যায়, পাশাপাশি রাজা কৃষ্ণচন্দ্র এবং গিরিশচন্দ্রের সময়ের পরবর্তীতে বাংলায় রাস উৎসবের বহুল প্রচলন ঘটে। সনাতন ধর্মাবলম্বীদের এই উৎসব যেন আজও যেন মনে এক শুদ্ধ ভক্তিভাবের উদ্রেক করে। অনেকে আবার বলেন ‘ রস’ থেকেই এসেছে এই রাস ।।