তুমি আমার গোকুলের পথে,বাঁশরী হাতে পীতম্বর কৃষ্ণ কালো ভ্রমর।
আমি তোমার মন যমুনার তীরে অপেক্ষমান নীলাম্বরী রাধা।
তুমি আমার রাত জাগা চোখে অন্ধকারের
এক বিন্দু আলো।
আমি তোমার ঘুম ভাঙা চোখে
নরম সোনালী রোদ্দুর।
তুমি আমার সাদা পাতায় অক্ষর জুড়ে জুড়ে তৎসম শব্দ।
আমি তোমার সেই শব্দের ধ্বনি থেকে প্রতিধ্বনি।
তুমি আমার আকাশের বুকে ভ্রমন পিপাসু কৃষ্ণকালো ঘন মেঘ।
আমি তোমার সেই আকাশের বুকে ভেসে থাকা নীলকন্ঠ পাখি।
তুমি আমার সবুজ মেঠো পথের বাউল কন্ঠে
“রাই জাগো গান।”
আমি তোমার হাতে বেজে ওঠা একতারায় একটি সুরের তান।
তুমি আমার নীল সাগর পথে,দীর্ঘ প্রতীক্ষায় মৌন মহান পাহাড়।
আমি তোমায় ঘিরে,ছন্দময় নুপুর পায়ে বয়ে চলা চঞ্চলা বহতা নদী।
তুমি সেই দ্বাপর যুগে বুদ্ধিদীপ্ত চোখের তারায় বাঁশি হাতে মন কাড়া সুরে কৃষ্ণ কানাই!
আর আমি মন যমুনার সময়ের জলে বয়ে চলা বিরোহিনী সেই রাধা!
তোমরা কেউ কি জানো বিরোহিনী সেই রাধার কথা!!