আরেকবার বিশল্যকরণীর ছোঁয়ায় ঘুমন্ত শেকড়
ধড়মড় উঠে সেই আতপ খোঁজে…
জ্বলজ্বল কুটিল গাছ পত্রপুষ্পহীন,
অনাদরে বাঁচিয়ে রেখে কার কিবা লাভ?
যেদিকে ছড়িয়ে মরুর বিস্তৃত হাত,
দ্বিধাহীন তাপে নিরলস থিরথির কাঁপে
খুঁজেছি সেখানে অসম্ভব উত্তরণ।
না-বুঝ নাচার আলোড়নে
খসে খসে গেছে হাত-পা জীর্ণ কলেবর
খুশীর আলে বেশী-বেশীক্ষণ স্থির থেকে
পাই নি কোনো মানুষের সাড়া।
দুগালে দুটি চড় মেরে কান্নার
গলা জড়িয়ে কিছু পলকের খোলামেলা
তাণ্ডব নর্তনে মেতেছি,
অথচ নিপাট নিভাঁজ আলোময় দিশায়
লোভনীয় ললিপপ হয়ে শিশুর মতন
দুলছি আর দুলছি।
অবশেষে পাতা-খসা বিবর্ণ চেহারায়
কে যেন ঢেলে দিল আবার
মৃত সঞ্জীবনী সুধা।
তারপর-ই আকষ্মিক খুঁজছি রোদ,
রোদ খুঁজছি, রোদ কোথায়? রোদ…